‘অবসর ঘোষণার পর সারারাত কেঁদেছিলেন ধোনি’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন ভারতের সাবেক সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারতকে দুটি বিশ্বকাপ, একটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং এশিয়া কাপ উপহার দেন ধোনি।

ভারতের সাবেক সফল এ অধিনায়কের স্মৃতি চারণ করে জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেছেন, আমার মনে আছে ২০১৪ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে ধোনি যখন অবসর নিলেন, মেলবোর্নে আমি তখন ওনার সঙ্গে ব্যাটিং করছিলাম। যখন আমরা হেরে গেলাম, ও একটা স্ট্যাম্প তুলে নিয়ে চলে যেতে যেতে বলল, আমি শেষ করলাম।

রবিচন্দ্রন অশ্বিন আরও বলেন, ধোনির সেই মুহূর্তটা অনেক আবেগঘন ছিল। ইশান্ত শর্মা, সুরেশ রায়না ও আমি হোটেলে ওর ঘরে সন্ধ্যায় বসেছিলাম। ও সারারাত ধরে টেস্টের জার্সি পরে ছিল এবং ওর চোখ দিয়ে অশ্রুধারা বয়ে যাচ্ছিল।

অশ্বিন আরও বলেন, চিপকে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের সময় ওনার সঙ্গে প্রথম আলাপ হয়। তারপর ২০০৮ সালের আইপিএলে ওনার অধিনায়কত্বে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলি। সেই সময় ওনার থেকে অনেক কিছু শিখেছি। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলতে গিয়ে বুঝেছিলাম যে উনি কতটা পরিণত অধিনায়ক।

২০০৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিকে অভিষেক হয় মহেন্দ্র সিং ধোনির। সবশেষ গত বছরের ৯ জুলাই ম্যানচেস্টারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ৩৮ বছর বয়সী এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ভারতের হয়ে ৯০টি টেস্টে ৩৮.০৯ গড়ে ৬টি সেঞ্চুরির সাহায্যে সংগ্রহ করেন ৪ হাজার ৮৭৬ রান।

তবে টেস্টের সাদা পোশাকের চেয়ে রঙিন পোশাকে একদিনের ক্রিকেটে বেশি সফল ধোনি। ওয়ানডের ৩৫০ ম্যাচে ৫০.৫৭ গড়ে ১০টি সেঞ্চুরির সাহায্যে সংগ্রহ করেছেন ১০ হাজার ৭৭৩ রান। আর টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ৯৮ ম্যাচে অংশ নিয়ে ৩৭.৬০ গড়ে ১ হাজার ৬১৭ রান সংগ্রহ করেছেন ধোনি।

ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি কিপিংয়ে বিশ্বের সেরাদের মধ্যে অন্যতম এমএস ধোনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫৩৮ ম্যাচে কিপিং করে ধোনি স্টাম্পিং করেছেন ১৯৫ জন ব্যাটসম্যানকে।

মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ সালের বিশ্বকাপ আর ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে টিম ইন্ডিয়া।

ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ২০০টি ওয়ানডে, ৬০টি টেস্ট আর ৭২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেতৃত্ব দেন ধোনি। তার অধিনায়কত্বে ভারত জিতে ১১০টি ওয়ানডে, ২৭টি টেস্ট ও ৪১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।

 

সূত্রঃ যুগান্তর