অবশেষে আফগানিস্তানে ৪শ কোটি টাকা সহায়তা দিল জাতিসংঘ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

জাতিসংঘের সহায়তা সংস্থার প্রধান আফগানিস্তানে প্রায় চারশ কোটি  (৪৫ মিলিয়ন ডলার) সহায়তা দিয়েছেন। ২০ বছরের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা  রক্ষা করতে এই সহায়তা দিয়েছেন তিনি।

বুধবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন গ্রিফিটস জানান, আফগানিস্তানের জীবন বাঁচাতে জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় জরুরি তহবিল থেকে তিনি ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩৮৪ কোটি টাকা) সহায়তা দিয়েছেন।

ওই বিবৃতিতে আফগানিস্তানে ওষুধ, স্বাস্থ্য সরঞ্জাম এবং জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের বেতন বন্ধ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আফগানিস্তানের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে সেটা বিপর্যয়কর হবে। মানুষ  সিজারসহ প্রাথমিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবে।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের এই অর্থ সংস্থাটির স্বাস্থ্য ও শিশু এজেন্সিতে যাবে। এরপর অংশীদার এনজিওগুলো হাসপাতাল, করোনা সেন্টারসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থা  চালু রাখতে এই অর্থ খরচ করেন।

গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের দুই সপ্তাহ পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে তালেবান। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী দেশটিতে সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক তহবিলে আফগানিস্তানের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড এবং ইউএস সেন্ট্রাল ব্যাংক। ফলে চরম সংকটে পড়েছেন আফগানরা।

জাতিসংঘ এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, শীত আসার আগেই আফগানিস্তানের লাখ লাখ মানুষের খাবার ফুরিয়ে যেতে পারে। তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটানো না গেলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে প্রায় ১০ লাখ শিশু মারাও পড়তে পারে।

জেনেভায় জাতিসংঘের সম্মেলনে গুতেরেস বলেন, কয়েক দশক ধরে যুদ্ধ, ভোগান্তি ও নিরাপত্তাহীনতার পরেও আফগানরা ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক সময়ের’ মুখোমুখি। তাই বেঁচে থাকার জন্য আফগানিস্তানের জনগণের সহায়তার প্রয়োজন। দেশটিতে মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় ৬০ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

এর পর আফগানিস্তানকে ১০০ কোটি ডলারের বেশি আর্থিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেয় বিভিন্ন দেশ।

সূত্র:যুগান্তর