অপুর সঙ্গে অভিনয়ে আপত্তি নেই বুবলীর

ঢাকাই ছবির একসময়ের সেরা জুটি শাকিব-অপু। রূপালি পর্দায় একসঙ্গে এ দুজনের উপস্থিতি মানেই সুপারহিট সিনেমা। আর এ সবই এখন অতীত। অনেক ঝড় বয়ে যাওয়ার পর পর্দায় শাকিব-অপু জুটি ফের দেখতে পাওয়া অবিশ্বাস্য!

এরপর শাকিব জুটি বাঁধেন শবনম বুবলীর সঙ্গে। বুবলী অবশ্য শাকিবেরই আবিষ্কার। শাকিব-বুবলী জুটিও সিনেপ্রেমীদের কাছে প্রিয়। সঙ্গতকারণেই শাকিবের ব্যক্তিগত জীবনে অপুর সঙ্গে বুবলীর নামটি চলে আসে। আর এ কারণেই অনেকে মনে করেন, বেশ তিক্ত সম্পর্ক বোধহয় এই দুই নায়িকার।

বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুললেন বুবলী নিজেই। জানালেন, অপুর সঙ্গে কোনো রেষারেষি নেই তার। এমনকি গল্পের প্রয়োজনে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে অভিনয় করতেও আপত্তি নেই তার। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন বুবলী।

সোমবার এফডিসিতে সৈকত নাসির পরিচালিত ‘তালাশ’ নামের একটি ছবির শুটিং সেটে উপস্থিত হন বুবলী।

এ সময় সাংবাদিকরা তাকে ঘিরে ধরে প্রশ্ন করেন চিত্রায়িকা অপু বিশ্বাসের সঙ্গে তার কোনো বিরোধ চলছে কি না।

জবাবে বুবলী বলেন, ‘অপু বিশ্বাসের সঙ্গে আমার দেখাও হয় না। তাহলে তার সঙ্গে আমার রেষারেষি কেন থাকবে। কিন্তু মানুষ মনে মনে কথা কিছু ভেবে বসে থাকে। গল্পের প্রয়োজনে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে অভিনয় করতেও আপত্তি নেই আমার। যখন আমরা শিল্পীরা একসঙ্গে কাজ করি তখন আমাদের মধ্যে এমন কোনও বিষয় থাকে না। বাইরে থেকে মানুষ অনেক কিছু চিন্তা করেন। আমার কাছে ভালো গল্পের সিনেমা হলে সবার সঙ্গেই কাজ করার ইচ্ছে। একটা সময় শাকিব খানের বাইরে আমাকে পাওয়া যায় না বলেও কথা উঠত; এখন তো অনেকের সঙ্গে কাজ করছি।’

প্রসঙ্গত, হালের সেরা চিত্রনায়ক শাকিব খানের হাত ধরেই ঢাকাই ছবিতে আগমন শবনম বুবলীর। ২০১৬ সালে শামীম আহমেদ রনির ‘বসগিরি’ দিয়ে শুরু হয়েছিলো বুবলীর রূপালি পর্দার যাত্রা। তার আগে সংবাদ পাঠিকা ছিলেন তিনি। ‘বসগিরি’র পর শাকিবের সঙ্গে জুটি বেঁধে বুবলী কাজ করেছেন ‘শুটার’, ‘রংবাজ’, ‘অহংকার’, ‘চিটাগাইঙ্গা পোলা নোয়াখাইল্যা মাইয়া’, ‘ক্যাপ্টেন খান’, ‘পাসওয়ার্ড’ ও ‘বীর’ ছবিতে।

তবে সিনেমায় শাকিবনির্ভর নায়িকার তকমা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন এ নায়িকা।

নায়ক নিরবের সঙ্গে ‘ক্যাসিনো’ ও নিরব-রোশানের সঙ্গে ‘চোখ’ ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। এবার একে আজাদ আদর ও আসিফ আহসান খান নামের দুই তরুণের সঙ্গে ‘তালাশ’-এ অভিনয় করছেন।

আগামী ১ অক্টোবর ‘চোখ’ সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা।

 

সূত্রঃ যুগান্তর