অপরিকল্পিত বাস স্টপেজ অপসারণসহ সাত দফা দাবি রাজশাহীর তরুণদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর রাস্তায় যত্রতত্র গড়ে ওঠা অপরিকল্পিত সকল প্রকার যানবাহনের স্টপেজ অবিলম্বে অপসারণ এবং শিরোইল বাস র্টামিনাল ও ঢাকা বাস র্টামিনালকে নওদাপাড়া বাস টার্মিনালে স্থানান্তর করাসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে রাজশাহীর তরুণরা। তারা এসব দাবি নিয়ে জেলা প্রশাসক, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র ও মহানগর পুলিশের কমিশনারকে পৃথক পৃথক স্মারকলিপি প্রদান করেছে।

আজ রোববার সকালে তাদেরকে স্মারকলিপি প্রদান করে রাজশাহীর তরুণদের নিয়ে গড়া সংগঠন ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ (ইয়্যাস)।

এছাড়া তাদের অন্য দাবিগুলো হলো-

২। শহরকে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে শহরের ভেতর দিয়ে দূরপাল্লার বাস-ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে।
৩। পথচারীদের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিতের লক্ষ্যে নগরীর সকল ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হবে।
৪। ট্রাফিক আইন অনুযায়ী লেন মেনে সকল যানবাহণের চলাচল নিশ্চিত করতে হবে।
৫। যত্রতত্র যানবাহন থামিয়ে রাস্তা দখল করে যাত্রী উঠানামা ও অবৈধ পার্কিং বন্ধ করতে হবে ।
৬। রাজশাহীর প্রতিটি স্থানে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন ও সার্বিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) দ্বারা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
৭। রাস্তার ধারে দৃশ্যমান স্থানে ট্রাফিক আইন সম্পকে পর্যাপ্ত নির্দেশিকা প্রদান এবং এ সম্পর্কে জনসাধারণকে অবগত করতে প্রচারণা করতে হবে।

ইয়্যাস সভাপতি মো. শামীউল আলীম শাওন ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম আকাশ এর যৌথ স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী মহানগরীর যানজট নিরসন ও যাত্রীদের উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে রাজশাহীর নওদাপাড়া এলাকায় ৭.৪১ একর জায়গার ওপর সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৪ সালে স্থাপন করা হয় নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল। টার্মিনালটিতে এক সঙ্গে প্রায় ৫০০টি বাস দাঁড়াতে পারে। ২০১১ সালের জুনে পরিবহন মালিকদের কাছে টার্মিনালটি হস্তান্তরও করে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ)। উদ্দেশ্য ছিল, নগরীর ভেতরে অবস্থিত শিরোইল বাস টার্মিনাল সরিয়ে শহরের বাইরে স্থাপন করা। কিন্তু প্রায় ১৫ বছর পার হলেও নওদাপাড়া বাসস্ট্যান্ডটি এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি। টার্মিনালটি শুধুই বাস দাঁড়ানোর জন্য যেন গ্যারেজে পরিণত হয়েছে এখন।

সেখান থেকে বাস ছাড়লেও নগরীর ভদ্রা গোল চত্ত্বরে এসে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থেকে উঠানো হচ্ছে যাত্রী। ফলে ভদ্রা গোল চত্ত্বরটিকে এখন বানানো হয়েছে বাস টার্মিনাল। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, রাস্তা দখল করে শুধু এই টার্মিনালটি-ই নয়, তালাইমারী মোড়, বিন্দুর মোড় ও গ্রেটার রোড রেল ভবনের মূল প্রবেশ পথ, বহরমপুর সিটি বাইপাস মোড়সহ মহানগরীর বিভিন্ন প্রবেশদ্বারের মুখে রাস্তার ওপরে গড়ে তোলা অস্থায়ী টার্মিনালের কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।

সংগঠনটির সভাপতি মো. শামীউল আলীম শাওন ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম আকাশ’র নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহীর জেলা প্রশাসক, মেয়র ও পুলিশ কমিশনারকে পৃথক পৃথক স্মারকলিপি প্রদান করে। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- ইয়্যাসের অর্থ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, সাংগঠনিক সম্পাদক সোলাইমান হোসেন রকি ও সাধারণ সদস্য রিনা খাতুন।

স/শা