রাজশাহীর ইসলামীয়া কলেজের ছাত্রী সুমাইয়ার দু’টি কিডনিই নষ্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি:
রাজশাহীর ইসলামীয়া কলেজের ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার রুম্পা। হঠাৎ ডাক্তারি চিকিৎসায় ধরা পড়েছে তার দুইটি কিডনিই অকেজো। দুদিন আগেও যার মুখে হাসিখুশি লেগে ছিলো আজ তারই মুখে হতাশার প্রকট ছাপ। লেখাপড়া শিখে অন্যের সেবায় বিলিয়ে দেওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে যেয়ে এখন নিজেই পড়েছে মহাসংকটে। জীবনই বিপন্ন তার। টাকার অভাবে নিভতে বসেছে তার জীবন প্রদীপ।

সুমাইয়া কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ছাত্রী। দেড় বছর বয়সে সুমাইয়ার কিডনি রোগ ধরা পড়ে। ওই সময় চিকিৎসা নিয়ে এতোদিন সুস্থই ছিলো সুমাইয়া। গত ২৯ জানুয়ারি হঠাৎই অসুস্থ সে। এরপর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সুমাইয়ার বাবা মো. সেলিম জানতে পারেন তার মেয়ের দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে গেছে।

সুমাইয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সুমাইয়ার বাড়ি নগরীর মতিহার থানার বুধপাড়া এলাকায়। সুমাইয়ার মামা মিজানুর রহমান সিনহা জানান, সুমাইয়ার বাবা সেলিম রেজার চলার সম্বল বলতে বাড়ির ভিটে আর সিংগাড়া-পুরির দোকান। অল্প আয়ে কোনোরকম চলে যাচ্ছিল। তবে হঠাৎ তার কিডনি রোগ ধরা পড়ায় এখন কুলকিনারা পাচ্ছেন না তারা।
সে চিকিৎসা নিচ্ছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ এর অধীনে।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সুমাইয়ার মামা সিনহা জানান, প্রতিমাসে ডায়ালাইসিস করা নয়তো কিডনি প্রতিস্থাপনেরমাধ্যমে সুমাইয়াকে বেঁচে থাকতে হবে। কিডনি প্রতিস্থাপন করতে ছয়-সাত লাখ টাকা প্রয়োজন। প্রতিমাসে ডায়ালাইসিস করতে প্রয়োজন ২০-২৫ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, দরিদ্র পিতা যার সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। তার পক্ষে এই ব্যয় বহন করা সম্ভবপর হবে না। তাই সুমাইয়াকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা চান তিনি।

সুমাইয়াকে সাহায্য পাঠাতে ০১৭০৫২৯৭৯৫৯ (মো. সেলিম) নম্বরে বিকাশ করে অথবা অগ্রণী ব্যাংক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার হিসাব নম্বরে (২০০০২২৫৯৪৭৯) টাকা পাঠানো যাবে।

স/শা