অন্ধকার ঘুচাল টিআর কাবিটার সৌরবিদ্যুৎ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

কেরোসিন কেনার টাকা না থাকায় প্রায় দিনই সন্ধ্যার আগে খাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়তে হতো গীতা বেদ বর্মণের পরিবারের সদস্যদের। কিন্তু এখন আর আলোর অভাবে রাত এলেই শুতে হচ্ছে না তাদের।

সৌরবিদ্যুতের আলোয় রাতে পড়ালেখাসহ যাবতীয় কাজ করতে পারছেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বিশমনি গ্রামের এই পরিবারের সদস্যরা।

এসব সম্ভব হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত টিআর-কাবিটা প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে দেয়া সোলার হোম সিস্টেমের সাহায্যে। গৃহবধূ গীতা বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ, কখনও ভাবিনি এখানে বিদ্যুতের ব্যবস্থা হবে। সৌরবিদ্যুৎ আমাদের অন্ধকার থেকে আলোর পথে এনেছে। আমাদের জীবনধারা পাল্টে গেছে।

গীতার বাড়ির পেছনে আকাশ বেদ বর্মণের বাড়িতে বসানো হয়েছে সোলার হোম সিস্টেম। তিনি জানান, বাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ আনার পর থেকে চোর-ডাকাতের ভয় নেই। এখন রাতে চলাফেরায় কোনো সমস্যা হয় না। স্থানীয় মুদি দোকানি শেখ বাদশা বলেন, সৌরবিদ্যুৎ নেয়ার পর এখন রাত ১১-১২টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখছি। বেচাকেনা বেড়েছে।

এই চিত্র পুরো শ্রীমঙ্গল উপজেলার। টিআর-কাবিটা প্রকল্পের আওতায় গত চার বছরে এখানে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে ৪ হাজার ১৪৩টি সোলার হোম সিস্টেম। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও সড়কে ১৯৭টি সোলার ও সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে। এতে টিআর ও কাবিটা প্রকল্পের ৬ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৪০ টাকা ব্যয় হয়েছে।

এ বিষয়ে বেঙ্গল সোলার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎবিহীন গ্রামীণ জনপদে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে সোলার হোম সিস্টেম ও সোলার স্ট্রিট লাইট। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।