বুধবার , ৫ জানুয়ারি ২০২২ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

অনুশীলনের প্রথমদিন থেকেই মনে হলো, এই দলটা একটু ভিন্ন: রাজ্জাক

Paris
জানুয়ারি ৫, ২০২২ ৯:২৪ অপরাহ্ণ

খালেদ মাহমুদ সুজন টিম ডিরেক্টর। মিজানুর রহমান বাবুল সহকারি ফিল্ডিং কোচ। ফিজিও বায়েজিদও আছেন দলের সঙ্গে। এর বাইরে নাফিস ইকবাল গেছেন ট্যুর বা লজিস্টিক ম্যানেজার হিসেবে। এর বাইরে এবারের নিউজিল্যান্ড সফরে দলের সঙ্গে আরও একজন সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার গেছেন। তিনি আব্দুর রাজ্জাক। জাতীয় দলের এ বাঁ-হাতি স্পিনার খানিকটা সৌভাগ্যবান।

নিউজিল্যান্ড সিরিজে আসলে যাওয়ার কথা ছিল হয় প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু কিংবা হাবিবুল বাশার সুমনের; কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর ওই দুই নির্বাচকের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে, তাদের চুক্তি নবায়ন হবে নাকি নতুন কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে- সে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায়, তারা কেউ যাননি। পাঠানো হয়েছে আব্দুর রাজ্জাককে।

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে প্রিয় জাতীয় দলের এমন দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখে মুগ্ধ আবদুর রাজ্জাক। শুধু ৫ দিনের টেস্টেই নয়, এবার নিউজিল্যান্ডে গিয়ে টাইগারদের প্র্যাকটিস সেশনটাও তার খুব ভাল লেগেছে। আজ বুধবার সকালে জাগো নিউজের সাথে মুঠোফোনে একান্ত আলাপে সে কথাই জানিয়েছেন রাজ্জাক।

কথা-বার্তায় পরিষ্কার, অনুজপ্রতিম মুমিনুল, সাদমান, নাজমুল শান্ত, মাহমুদুল হাসান জয়, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মিরাজ, ইয়াসির রাব্বি, এবাদত, তাসকিন আর শরিফুলদের পারফরমেন্সে যারপারনাই খুশি নির্বাচক রাজ্জাক।

bd team

তাইতো টেলিফোন আলাপের শুরুতেই মুখে এমন প্রশংসাসূচক সংলাপ, ‘আমার অনুভুতি হলো চরম, চরম সুখের। আর যারপরনাই খুশি আমি। শরীর ও মনে একটা অন্যরকম আনন্দ অনুভব করছি। খুব খুব ভাল লাগছে। কেন ভাল লাগবে না! ছোট ভাইরা যে খেলাটা খেলেছে! কি বলবো, বলে বোঝানো যাবে না ভেতরের সত্যিকার ভাললাগা কতটুকু। অসম্ভব ভাল খেলেছে মুমিনুলের দল।’

নিউজিল্যান্ডে এসে কিউইদের মাঠে পুরো পাঁচদিন ডমিনেট করা এবং ম্যাচ জিতে মাঠ থেকে বিজয়ীর বেশে হাসিমুখে বেরিয়ে আসা অকল্পনীয়। অনন্য, অসাধারণ। সেটাকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?

রাজ্জাাকের চোখে, ‘আসলে এক্সট্রা অর্ডিনারি পারফরমেন্স। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পাঁচদিন এক ছন্দ ও লয়ে খেলা এবং ব্ল্যাক ক্যাপ্সদের ওপর পুরো আধিপত্য বিস্তার করা- অনেক বড় ব্যাপার। দারুণ অ্যাচিভমেন্ট।’

আগেও বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড সফরে এসেছে। খেলেছে। তখনো ভাল পারফরমেন্স হয়েছে। সাকিবের ডাবল সেঞ্চুরি আর মুশফিক, তামিম, রিয়াদ এবং সৌম্য সরকার আগে সেঞ্চুরি করেছেন।

সাকিব ও মুশফিকের ৩৫৯ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপটাও নিউজিল্যান্ডের মাটিতেই। আগেও গেম প্ল্যান ছিল। লক্ষ্য-পরিকল্পনা আঁটা হয়েছে; কিন্তু কই তখন তো কোন জয়ের দেখা মেলেনি। সে সময় সিরিজেও টিম বাংলাদেশ একটি দিন বা কয়েকটি সেশন ভাল খেলে তারপর একটা পর্যায়ে গিয়ে আর পারেনি; কিন্তু এবার প্রথম থেকেই ভাল খেলা। তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং সঠিক সময় ব্যাটিং ও বোলিংয়ে করণীয় কাজগুলো করে দেখানো- সেটা কী করে সম্ভব হলো?

নির্বাচক রাজ্জাকের উপলব্ধি, ‘মূল কারণ হলো সবার ভাল খেলার সদিচ্ছা। তাগিদ ও ইতিবাচক কিছু করার দৃঢ় সংকল্প। এবার ছেলেদের আগ্রহ ছিল প্রবল। প্রত্যেকের মাঝে আমি দেখেছি ভাল করার প্রবল ইচ্ছে এবং তাগিদ। অবশ্য সেটা প্রায় সব সময় থাকে। আগে থাকেনি, এবারই থেকেছে এমন নয়। তবে এবার মনে হয় একটু বেশি ছিল।’

শুধু ক্রিকেটারদের ভাল খেলার প্রবল ইচ্ছে আর দৃঢ় সংল্পই কী এমন সাফল্যর পিছনে ভূমিকা রেখেছে? রাজ্জাক যোগ করেন, ‘না সঙ্গে আরও কিছু আছে। যেমন এবার প্ল্যানগুলোও ক্লিক করেছে। সব সময় সব লক্ষ্য ও পরিকল্পনা সফল হয় না। ক্লিক করে না। এবার করেছে। তারপরও বলবো, সে লক্ষ্য ও পরিকল্পনা সফল হয়েছে ক্রিকেটারদের একাগ্রতা ও দারুণ আত্ম নিবেদেনের কারণে। সেই নিউজিল্যান্ডে প্রথমদিন প্র্যাকটিস থেকেই দেখেছি, সবার প্রথম লক্ষ্যই ছিল এখানে কিছু একটা করতে হবে। মনে এটাই সবচেয়ে বড় কারণ। প্রবল ইচ্ছে শক্তি আর আন্তরিক চেষ্টা থাকলে যে লক্ষ্য-পরিকল্পনা বাস্তব রূপ পায়, মঙ্গানুই টেস্টে টাইগারদের এমন আলো ছড়ানো, প্রভাব বিস্তার করা পারফরমেন্সে মিলেছে সে সত্যর দেখা।’

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ

সর্বশেষ - খেলা