অনন্য ইমনের সেঞ্চুরি

নাটক নিয়ে স্বপ্ন দেখেন ছোটবেলা থেকেই। যার কারণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে ভর্তি হন নাট্য নির্মাতা অনন্য ইমন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষে পড়াকালেই তার পরিচালিত নাটক ‘অবাক যোগসূত্র’ প্রচার হয় এনটিভিতে।

প্রথম নাটকের মাধ্যমেই শিক্ষক, সহপাঠী এবং নাট্যাবোদ্ধাদের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন এই তরুণ নাট্য পরিচালক। পড়ালেখা শেষ করার পর পুরো সময়টাই নাটক নির্মাণে আত্মনিয়োগ করেন তিনি।

তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য নাটক হলো ‘দ্বিতীয় মৃত্যু আগে’, ‘অটো বায়োগ্রাফি’, ‘ক্যামিস্ট্রি’, ‘রিভার্স সুইং’, ‘ব্ল-বার্ড, ‘লোনলি টাচ্’, ‘কাঠ পুতুলের গল্প’, ‘সী লাভস মি’, ‘বিষক্ষয়’, ব্ল্যাঙ্ক ভার্স, ‘এ ব্লাইন্ড ম্যান’। শতাধিক  নাটক এবং ২০টির মতো টেলিফিল্ম দর্শকদের উপহার দেন।

বর্তমানে অনন্য ইমনের পরিচালনায় দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক ‘ফ্যামিলি ফ্যান্টাসি’ প্রচার হচ্ছে দেশ টিভিতে।

এর আগে তিনি গানের গল্প নিয়ে নির্মাণ করেন দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক ‘রেইন ফরেস্ট’। গল্পনির্ভর ক্ল্যাসিক, রক, আধুনিক, ওয়েস্টার্ন ক্ল্যাসিক এবং রবীন্দ্র সংগীত নিয়ে নির্মিত এই দীর্ঘ ধারাবাহিকটি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। নাট্য নির্মাতার পরিচয়ের পাশাপাশি এখন তিনি একজন প্রযোজকও।

এ প্রসঙ্গে অনন্য ইমন বলেন, অনেক পরিচালক ভালো গল্প সিলেক্ট করেও তা নির্মাণের জন্য প্রডিউসার  পান না। তাদের নির্মাণ যেন বাধাগ্রস্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্যই আমি সেসব পরিচালকের নাটক প্রডিউস করছি। যেহেতু আমি নিজে পরিচালক তাই আমার কলিগদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই প্রযোজনার এ উদ্যোগ নিয়েছি।

ইতোমধ্যেই আমি ৫০টিরও বেশি নাটক প্রযোজনা করেছি। তাছাড়া আমার পরিচালিত নাটক নির্মাণ সংখ্যা শতকের ঘর পূরণ হওয়াও একটি মাইলফলক আমার জন্য। আশা করছি আগামীতেও যেন আমার কাজ অব্যাহত থাকে, এই কামনাই করছি।

এই নির্মাতা ২০২২ সালে সিনেমা নির্মাণেরও ঘোষণা দিয়েছেন; যার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এখন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি ভাস্কর্য এবং মুখোশ নির্মাণ করতেন। তার বানানো ভাস্কর্য এবং মুখোশের একাধিক প্রদর্শনী তখনকার সময়ে আলোচনার তুঙ্গে ছিল।

 

সূত্রঃ যুগান্তর