তিনি বলেন, আমি মনে করি না একজন অভিনেতাকে বয়স দিয়ে বিচার করা উচিত। এটি শুধু এ কারণে যে দর্শক বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তরুণদের পর্দায় দেখতে চান। তবে, আপনাদের এ ভ্রান্ত জগতে না থাকা এবং এটা বিশ্বাস করাও গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি সর্বদাই তরুণ। আপনি মনের দিক থেকে তরুণ হতে পারেন কিন্তু আপনার বয়সকে মেনে নেওয়া এবং আপনার বয়সের সঙ্গে মানানসই ভূমিকা গ্রহণ করাও গুরুত্বপূর্ণ।
দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বলিউডে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন রানি মুখোপাধ্যায়। তিনি বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে গেছেন। এ নিয়ে তার ভাষ্য, যেভাবে আমার দর্শকরা আমাকে পছন্দ করেছে এবং আমাকে গ্রহণ করেছে, সেভাবেই কাজ করেছি। দর্শকই আসলে আমাকে বয়সে বাধা ভাঙতে সাহায্য করেছে। আর আমি আমার দর্শকদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমি নিশ্চিতভাবে ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করে যাব। আমি শিগগিরই আমার তোয়ালে ঝুলিয়ে দিচ্ছি না (আমি দ্রুত অবসর নিচ্ছি না)।
৪৫ বছর বয়সের রানিকে ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবিতে শেষবার দেখা গেছে। রানির কথায়, আমি আমার তৃতীয় ছবি কুছ কুছ হোতা হ্যায়তে একজন মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। তারা রাম পাম ছবিতে আমি দুই সন্তানের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। আমি সচেতনভাবে চেষ্টা করেছি চরিত্রের বয়স ফ্যাক্টরকে গুরুত্ব না দিয়ে যে চরিত্রে অভিনয় করছি তার প্রতি সুবিচার করতে। যাতে দর্শক যখন আমাকে পর্দায় দেখছেন, তারা আমাকে রানি মুখার্জি মনে না করেন।
প্রসঙ্গত, হিচকির ক্লাইম্যাক্স দৃশ্যে একজন ৬০ বছর বয়সী চরিত্রে অভিনয় করেন রানি।
এইচ/আর