সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
সুইডিশ প্রসিকিউশন অথরিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ওই দুই ব্যক্তি ‘একটি জাতি বা জাতীয় গোষ্ঠীকে ক্ষুব্ধ করে তোলার অপরাধ’ করেছেন ।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুইডেনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সন্ত্রাসী হামলার সতর্কতার মাত্রা বাড়ায়। প্রতিবেশী ডেনমার্কেও কোরআন পোড়ানোর প্রবণতা শুরু হয়, যা বন্ধে আইনে কাড়াকড়ি আরোপ করে সরকার।
সুইডেনের জ্যেষ্ঠ কৌঁসুলি আনা হানকিও বিবৃতিতে বলেছেন, দুই ব্যক্তিকেই মুসলিমদের বিশ্বাসের অবমাননার উদ্দেশ্যে করা ওই চারটি ঘটনার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সাফারিয়ান জানান, তার মক্কেলের বিক্ষোভ প্রদর্শনের অধিকার সুইডেনের সংবিধানের মাধ্যমে সংরক্ষিত। তবে অন্য অভিযুক্তের আইনজীবী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।
২০২৩ সালে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে সুইডেনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়।
চলতি মাসের শুরুতে কৌঁসুলিরা সুইডিশ-ড্যানিশ বংশদ্ভূত আরেক ব্যক্তিকে ২০২২ সালে মালমো শহরে একই ধরনের অপরাধ সংঘটনের দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। ২০২০ সালে কোরআন পোড়ানোর আরেক ঘটনায় জাতিগত ঘৃণা উসকে দেওয়ার জন্য গত বছরের অক্টোবরে এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেন সুইডিশ আদালত। মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর জন্য কারো বিরুদ্ধে দেওয়া এটিই দেশটির আদালতের প্রথম কোনো রায়।
সমালোচকদের কারো কারো মতে, বিশ্বের অন্যতম উদার দেশ সুইডেন ও ডেনমার্কে কোরআন পোড়ানোকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হিসেবেই দেখা উচিত।
সূত্র: কালের কণ্ঠ