রবিবার , ১৪ আগস্ট ২০১৬ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

শিশু আইন নিয়ে দুই সচিবের কাছে ব্যাখ্যা তলব

Paris
আগস্ট ১৪, ২০১৬ ৪:০৮ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

শিশু আইনে বয়স্কদের বিচার নিয়ে অস্পষ্টতা বিষয়ে আইন সচিব ও সমাজকল্যাণ সচিবের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট।

 

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের আদালতে ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ২৬ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।

 

রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ একেএম মনিরুজ্জামান কবির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শহীদুল ইসলাম খান ছিলেন।

 

রোববার শিশু আইনের অস্পষ্টতা দূরীকরণের প্রশ্নে রায়ের জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু আদালত দুপুরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা তো এখন রায় দিতে চাচ্ছি না। এই আইন প্রণয়নের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ব্যাখ্যা জানা দরকার।’

 

এরপর হাইকোর্ট দুই সচিবের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেন।

 

এর আগে গত ৯ আগস্ট এ সংক্রান্ত রুলের শুনানি হয়। শিশু ধর্ষণের চারটি মামলায় প্রাপ্ত বয়স্ক আসামির জামিন আবেদনের শুনানি শিশু আদালতে করায় গত মার্চ মাসে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর ও কক্সবাজারের শিশু আদালতের বিচারকদের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেন আদালত। হাইকোর্টের ওই আদেশের পর সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকেরা তাদের ব্যাখ্যা দাখিল করেন। ওই ব্যাখ্যা দাখিলের পর আজ হাইকোর্টে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

 

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘২০১৩ সালে প্রণীত শিশু আইনে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে কোনো অপরাধের শিকার বা ভিকটিম এবং সাক্ষী শিশু হলে ওই মামলার বিচার শিশু আদালতে হবে। কিন্তু আসামি প্রাপ্তবয়স্ক হলে এবং অপরাধ যদি গুরুতর অপরাধ বিশেষ করে হত্যা হয় তাহলে এর বিচার কোথায় হবে সেটি আইনে বলা নেই? যদিও প্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিচার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হয়ে থাকে। কিন্তু এটি আইনে স্পষ্ট করে দেওয়ার দরকার ছিল। কারণ নারী নির্যাতন আইনে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু শিশু আইনে তা নেই। ফলে প্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিচার কোথায় হবে এটা এই আইনে উল্লেখ করে দিলেই এই অস্পষ্টতা দূর হতো।’

 

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এই অস্পষ্টতা দূরীকরণের জন্য আইনটি সংশোধন হওয়া দরকার। হাইকোর্ট আইন সংশোধনের জন্য আইন, স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিতে পারেন।’

সূত্র:রাইজিংবিডি

সর্বশেষ - অপরাধ ও দুর্নীতি