সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার হাসপাতালের পাঁচতলার বারান্দা থেকে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের নাম সমাপ্তি রুইদাস। তিনি ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের নার্সিংয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, ইংরেজি ভীতির কারণে সমাপ্তি আত্মহত্যা করে থাকতের পারেন বলে ধারণা করছেন স্বাস্থ্য ভবনের কিছু কর্মকর্তা।
তবে এমনটা মানতে নারাজ সমাপ্তির বাবা নতুন করে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
সমাপ্তির মৃত্যু নিয়ে আত্মীয়বন্ধুদের অনেকে বলেছেন, ইংরেজি ভীতির কারণে আত্মহত্য করেনি। মেডিকেলের হোস্টেলে র্যাগিংয়ের কারণে সমাপ্তি আত্মহত্যা করেছেন।
সমাপ্তি বাঁকুড়ার কোতুলপুরের মেয়ে। সেখানকার বিধায়ক, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরাও বলেন, ‘পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে আমার মনে হচ্ছে, হোস্টেলে ওর ওপরে র্যাগিং হত। প্রকৃত তদন্ত হওয়া দরকার।’ এদিকে সমাপ্তির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের সুপার সন্দীপ ঘোষ।
ওই ছাত্রীর বাবা সুকুমার রুইদাস বলছেন, ‘আলাদা ভাবে কোনো অভিযোগ করব না। তবে আমি সত্যিটা জানতে চাই।’
শনিবার রাতে সমাপ্তির লাশ নেয়া হয় গ্রামের বাড়িতে। সুকুমার জানান, সৎকারের সময় তারা দেখেন, মেয়ের বাঁ হাতে লেখা রয়েছে- ‘আমার বালিশের তলার খাতার ফোল্ড করা পাতায় লেখা আছে’।
কিন্তু সেই হাতের লেখা সমাপ্তির নয় বলেই জানান বাবা। সমাপ্তির কাকা উজ্জ্বল রুইদাসের অভিযোগ, ‘ওর চোখের কাছে মারের দাগ দেখেছি।’
তাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সমাপ্তির দুই সহপাঠী জানান, হোস্টেলে র্যাগিং হত বলে ওই তরুণী তাদের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। তারা বলেন, ‘রাতে আলো জ্বালিয়ে পড়তে পারত না। মাঝরাতে সিনিয়রেরা পড়া ধরতে আসত। না-পারলে পাঁচতলা থেকে একতলায় পাঁচ-ছবার ওঠানামা করাত। পোশাক খুলে মারধরও করা হত।’
স্কুলের এক সহপাঠী বলেন, ‘নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে হয়তো অসুবিধা হতে পারে। কিন্তু ভর্তির মাত্র এক মাসের মধ্যে কতটা পড়ার চাপ পড়া সম্ভব? আমরা আত্মহত্যার কথা মানতে পারছি না।’