সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা অরুণ জেটলি আর নেই। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের পর এবার অরুণ জেটলির মৃত্যু। ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে একের পর এক নক্ষত্রপতন। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এআইআইএমএস) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অরুণ জেটলি।
গতকাল শুক্রবার রাত থেকেই অরুণ জেটলির শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল বলে জানা যায়। প্রবল শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে গত ৯ আগস্ট এআইআইএমএস হাসপাতালে ভর্তি হন জেটলি। গত ১০ আগস্ট থেকে ৬৬ বছর বয়সী ভারতের এই সাবেক মন্ত্রীর স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে।
অরুণ জেটলির চিকিত্সার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক দল তাঁকে ভেন্টিলেশনে (কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস) স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্ত তাতেও বিপদ এড়ানো যায়নি। গত ২০ আগস্ট থেকেই অরুণ জেটলিকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। এআইআইএমএসে ভর্তি হওয়ার পরদিন থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনো খবর দেওয়া বন্ধ করা দিয়েছিল।
গতকাল এআইআইএমএস সূত্রে জানা যায়, অরুণ জেটলি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ ছাড়াও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন ও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানিসহ একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্মৃতি ইরানি থেকে শুরু করে কংগ্রেস নেতা অভিষেক সিংভি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও এআইআইএমএসে অরুণ জেটলির খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছর অরুণ জেটলির কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। তারপর চলতি বছর তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ে। শারীরিক অবস্থার প্রচণ্ড অবনতি হওয়ায় ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি হননি অরুণ জেটলি। অসুস্থতার কারণে মোদির মন্ত্রিসভায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতেও চাননি তিনি। মোদি সরকারের প্রথমবারের শাসন আমলে অরুণ জেটলি অর্থমন্ত্রী থাকার সময়ই ভারতে জিএসটি ও নোট বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।