আব্দুল্লাহ ইকবাল, হেলসিঙ্কি:
বাংলাদেশকেও উন্নত-সম্মৃদ্ধ দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশে প্রবাসীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হেলসিংকি “ হোটেল কাম্প”-এ ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “ফিনল্যান্ড আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। তারা আমাদের পাশে আছে।” ফিনল্যান্ড পরীক্ষিত বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে ফিনল্যান্ডের ভূমিকা রয়েছে ।
তার সরকারের সময়ে বিভিন্ন খাতে দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখন আমাদের দেশে কাজ করলেই টাকা। কেউ যদি একটু কষ্ট করে কাজ করতে চায়, তাহলে কিন্তু সে অর্থ উপার্জন করতে পারে। সেই সুযোগটা আমরা সৃষ্টি করেছি। এবং এই সুযোগটা আরও হবে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “দেশে আমরা ১০০টা অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। সেখানে বিনিয়োগ হবে, কর্মসংস্থান হবে, উৎপাদন বাড়বে, মানুষের জীবনমান উন্নত হবে। আমরা সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করছি।”
জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ডিজটাল খাতের উন্নয়নের বিস্তারিত চিত্র প্রধানমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।
প্রবাসীদের বিশ্বে সন্মান নিয়ে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “অবৈধভাবে (বিদেশে) আসার কোনো প্রয়োজনই নেই। আমি নিজে দেখেছি, অনেকে ঘরবাড়ি, সবকিছু বিক্রি করে দিয়ে যখন প্রবাসের পথে যাত্রা শুরু করে…।”
যারা কাজ নিয়ে বিদেশে যেতে চায়, তাদের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করা এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক করার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জমিজমা বিক্রি না করে ওই প্রবাসী ব্যাংক থেকেও টাকা নিতে পারবে।”
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়ন এখন গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত চলে গেছে। সুতরাং কেউ যেন অবৈধভাবে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টায় নিজেকে ধ্বংসের পথে নিয়ে না যায়।
তিনি বলেন, দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সবজি, ফলমূল, মিঠা পানির মাছ, ধান উৎপাদনে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে। সরকার এখন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিতে কাজ করছে।
অথচ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে বাংলাদেশকে ‘জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল’ বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “প্রজন্মের পর প্রজ্ন্ম যখন আসবে তারা যেন সুন্দর জীবন পায়। আমরা যেমন কষ্ট ভোগ করেছি, এদেশের মানুষকে যেন সেরকম কষ্ট আর ভোগ করতে না হয়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই ডেল্টা পরিকল্পনা করেছি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “যে জাতির জন্য আমার বাবা, মা, ভাইয়েরা জীবন দিয়ে গেছেন, সেই জাতির কল্যাণের জন্য আমার কাজ করতে হবে, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।”
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদানের কথাও এ অনুষ্ঠানে স্মরণ করেন সরকারপ্রধান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রমজান আলী ও সেক্রেটারি মাইনুল ইসলাম।
উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সিনিয়র সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির,তপন বঙ্গবাসী, পলাশ কামালি, সাখাওয়াত হোসেন, ইকবাল হোসেন বকুল ,ফারজানা রহমান চৈতি, ফারুক আক্তার তারেক, সূচনা আক্তার, মামুন-অর-রশিদ রনি, শেখ রনি মাসুম বাবু সহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন ।
স/অ