বৃহস্পতিবার , ৭ নভেম্বর ২০২৪ | ২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

প্রথম প্রেসিডেন্ট হয়ে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে যেসব কাজ করেছিলেন ট্রাম্প

Paris
নভেম্বর ৭, ২০২৪ ৮:২৭ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

ফের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ইসরাইল। যদিও চলমান গাজা যুদ্ধে ইসরাইকে ১৭ বিলিয়নের বেশি ডলার সহায়তা দিয়েছে বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন। তা সত্ত্বেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কমালা হ্যারিসের পরাজয়কে রীতিমত ‘উদযাপন’ করেছে ইসরাইলিরা।

কারণ ট্রাম্প হলেন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ইসরাইলপন্থি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প নিজেই এমন দাবি করেছেন।

ট্রাম্প এর আগে ২০১৬ সালে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হন। সেই সময় ইসরাইলের পক্ষ হয়ে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে অনেক কাজ করেছেন তিনি।

তার প্রথম শাসনামলে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীরে রেকর্ড পরিমাণ জমি দখল করেছিল ইসরাইল। অবৈধভাবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করলেও ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন এ ব্যাপারে কিছু করেনি বলেনি।

এছাড়া ২০১৮ সালে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প। সে বছর জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্র তাদের দূতাবাস খোলে। মার্কিনিদের এমন সিদ্ধান্তে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। ওই সময় গাজা সীমান্তে ৫৮ ফিলিস্তিনিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস খুলতে সেখানে উপস্থিত হন ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প। ইভানকা যখন হাসিমুখে দূতাবাসের উদ্বোধন করছিলেন তখন নিজেদের রক্ত দিচ্ছিল ফিলিস্তিনিরা।

যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিলেও পূর্ব জেরুজালেমের বেশিরভাগ বাসিন্দা ফিলিস্তিনি এবং স্বাধীন ফিলিস্তিনের রাজধানী জেরুজালেম থাকবে এমন স্বপ্ন দেখেন তারা।

এছাড়া ২০১৮ সালে দখলকৃত গোলান হাইটকে ইসরাইলের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প। যা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ।

প্রথমবার প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে জাতিসংঘের মানবিধার কাউন্সিল থেকে প্রত্যাহার করে নেন এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য বরাদ্দকৃত মার্কিন সহায়তা বন্ধ করে দেন।

২০২০ সালে ট্রাম্প কথিত ‘শান্তি পরিকল্পনা’ প্রস্তাব করেন। এতে জেরুজালেমের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইসরাইলের হাতে থাকা, অবৈধ বসতিকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং ফিলিস্তিনি সীমান্তগুলোতে ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণ থাকার কথা বলা হয়। এই পরিকল্পনায় তিনি এমন এক ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব দেন যেখানে এক অংশের সঙ্গে আরেক অংশের কোনো সংযোগ নেই। অর্থাৎ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভূখণ্ড নিয়ে ফিলিস্তিনি গঠিত হবে। আবার এই স্বাধীন ফিলিস্তিনের নিয়ন্ত্রণ থাকবে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হাতে।

এছাড়া ইসরাইলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে বড় ভূমিকা রাখেন ট্রাম্প। এসব তিনি করেছেন স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠন ছাড়াই। যা যুক্তরাষ্ট্রের নীতির স্ববিরোধীতা।

 

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক