শনিবার , ৬ আগস্ট ২০১৬ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পরীক্ষা দিতে না পেরে ফিরে গেল ৪৩ শিক্ষার্থী !

Paris
আগস্ট ৬, ২০১৬ ৪:৩১ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ক্লাসে উপস্থিতির হার পর্যাপ্ত না থাকায় রাজশাহী মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ৪৩জন শিক্ষার্থীকে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়নি। আজ শনিবার সকাল ১০ থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৪৩জন শিক্ষার্থীকে কলেজের প্রধান ফটকের বাইরে রেখেই অনান্য শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে পরীক্ষা দিতে এসে ফিরে যেতে হয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের।

 
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, অসুস্থ্যতাসহ শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যা কথা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হাবিবুর রহমানের ‘স্বেচ্ছাচারিতা’র কারণে এই ৪৩জন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন থেকে একটি বছর নষ্ট হতে বসেছে।

 

কলেজ কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারায় তারা এই কলেজ থেকে আগামী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পরীক্ষার্থী, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অনেকে কলেজের সামনে এসে জড়ো হয়। এরপর সকাল ৯টার দিকে সেখানে পুলিশ যায়।

 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের বাদ দিয়ে কলেজের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিতে চাচ্ছিল না।  তবে পুলিশ ডেকে কলেজের অধ্যক্ষ অন্যান্য শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করেছেন।
সকাল ১০টায় কলেজের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের সামনে শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকরা ভিড় করছেন। ক্ষোভ ঝাড়ছেন অভিভাকরা, কাঁদো কাঁদো ভাবে র্দীঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, অসুস্থ্য থাকা, দুই-এক মিনিট দেরিতে কলেজে আসার কারণে ক্লাসে অংশ নিতে না দেওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে আমাদের ক্লাসে উপস্থিতির হার ৭০ শতাংশের নিচে। ফলে আমাদের সুযোগ পরীক্ষা দিতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা বিষয়টি নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে বারবার অনুরোধ করলেও তিনি বিবেচনায় আনছেন না।

 

তারা বলেন, সমস্যার কারণে আমরা ক্লাসে উপস্থিত হতে পারিনি। আমাদের সমস্যাটা মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করা উচিত। কিন্তু তারা করা হচ্ছে না। আমরা এখন কোথায় যাব? আমাদের সমস্যা ও ভুলের কারণে এতো বড় শাস্তি দেওয়া হবে? অধ্যক্ষ নিজের সন্তানের ক্ষেত্রে এমন করতে পারতেন?
এক ছাত্রীর অভিভাবক মোস্তাক আহমেদ জানান, তার মেয়ে অসুস্থ্যতার জন্যে ক্লাসে বেশি উপস্থিত হতে পারবে না-এই মর্মে গত বছরের ২৮ অক্টোবর অধ্যক্ষের কাছে দরখাস্ত করেছিলাম। সেটি পাশও হয়েছিল। সর্বশেষ গত ১১ এপ্রিলও বিষয়টি লিখিতভাবে অবগত করেছিলাম। কিন্তু এখন এসে এটি আর আমলে নেওয়া হচ্ছে না। এ কেমন আচরণ? এভাবে শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে তিনি (অধ্যক্ষ) ছিনিমিনি খেলতে পারেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ প্রফেসর হাবিবুর রহমান সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী তারা পরীক্ষা দিতে পারবে না। তাই তাদের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থীরা নতুন করে দ্বাদশ শ্রেণিতে ক্লাস করে পরবর্তী বছর পরীক্ষা দিতে পারবে। এছাড়া তাদের ক্ষেত্রে আর কোনো কিছু বিবেচনা করার সুযোগ নেই।

 

এদিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে সংবাদ কাভার করে কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে এই প্রতিবেদক বের হয়ে আসার সময় তার সাথে আসছিলেন অধ্যক্ষসহ অন্য কয়েকজন শিক্ষক। সবশেষে অধ্যক্ষের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় একজন শিক্ষক এই প্রতিবেদকের হাতে চুপিসারে টাকার একটি খাম দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই প্রতিবেদক সেই খামটি ওই শিক্ষকের কাছেই রাখতে বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

স/মি

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর