সোমবার , ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ধোঁয়াশায় এইচএসসির ফলপ্রত্যাশীরা

Paris
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ

 

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের আংশিক বাতিল হওয়া পরীক্ষার ফল নির্ধারণ পদ্ধতি নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি শিক্ষা প্রশাসন। উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড পরীক্ষার এই ফলপ্রত্যাশী সাড়ে ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে না।

শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্টরা ফল নির্ধারণের খসড়া পদ্ধতি তৈরি করে জমা দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। আগামী মাসের প্রথমার্ধে ফল প্রকাশের লক্ষ্যে বোর্ডগুলো কাজ করছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে বুধবার বৈঠকে বসবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বোর্ড কর্মকর্তারা।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকার পতনের পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা পুরোপুরি শেষ করা যায়নি। কিছু বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, কিছু বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে।

যেসব পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, সেগুলোর ফল কীভাবে নির্ধারণ করা হবে তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মোর্চা আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বোর্ডগুলোর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সিস্টেম অ্যানালিস্টদের নিয়ে গঠিত কমিটি সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে কীভাবে ফল তৈরি করা যায় তা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। ৬ থেকে ৯ অক্টোবরের মধ্যে ফল প্রকাশের লক্ষ্যে কাজ করছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।

কমিটির একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করে আমাদের সময়কে জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয়ে যে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে, তাতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল তৈরির কথা বলা হয়েছে। সেখানে যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা হয়নি সেগুলো বা সেগুলোর কাছাকাছি বিষয়ের ওপর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ৭৫ শতাংশ নম্বর এবং জেএসসি ও সমমানের ২৫ শতাংশ নম্বর সমন্বয় করে ফল তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। এ জন্য পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য ও কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে বোর্ড। মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত অনুমোদন না দেওয়ায় সেটা নিয়েও কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধাজনক হয় এমন পদ্ধতিতে ফল তৈরি করা হবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় সেটা মূল্যায়ন করে অনুমোদন দিলে সেভাবেই হবে। যদি তারা কোনো সংযোজন-বিয়োজন করে, সেটা করে ফল তৈরির কাজ শুরু হবে।’

সাবজেক্ট ম্যাপিং করার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অনুমোদন না হওয়ার আগেই এ নিয়ে কথা বলা অনুচিত। প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বিভ্রান্ত হবেন। আমরা যেভাবে প্রস্তাব করেছি, সেটার চেয়ে ভালো কিছুর পরামর্শও সরকারের পক্ষ থেকে আসতে পারে। সে জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। এখন এটা নিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে তথ্য প্রচার হলে জটিলতা তৈরি হবে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, গত সপ্তাহে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে ফল প্রকাশ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি গুরুত্ব সহকারে যাচাই-বাছাই চলছে। শিগগির এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে আগামী বুধবার মন্ত্রণালয়ের এবং বোর্ড কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা শুরু হলে ১৬ জুলাইয়ের পর এইচএসসির আর কোনো পরীক্ষা হয়নি। যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাকি ছিল সেগুলো বাতিলের দাবি তোলে পরীক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের মুখে বাকি পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়।

সূচি অনুযায়ী, ১৩ দিনের পরীক্ষা গ্রহণ বাকি ছিল। বিভিন্ন বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) বিভিন্ন বিষয় থাকায় এতগুলো পরীক্ষা স্থগিত এবং পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে তা বাতিল করা হয়। সিলেট বোর্ড ছাড়া বাকি বোর্ডগুলোর আবশ্যক ছয়টি এবং কেউ কেউ বিভাগভিত্তিক একটি পরীক্ষাসহ ৭টি পরীক্ষা দিয়েছেন। ফলে কারও ছয়টি কারও সাতটি পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, যেগুলো সবই বিভাগভিত্তিক।

গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম দফায় প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।

সর্বশেষ - শিক্ষা