সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির অন্যতম গতিপথ যোগব্যায়াম। নিয়মিত যোগব্যায়াম আমাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা, মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। পাশাপাশি এটি হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, যকৃৎ, কিডনি, পাকস্থলী দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সুন্দরভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। যোগব্যায়ামের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি দেহের মাংসপেশির কোনোরকম বৃদ্ধি ছাড়াই পুরো দেহে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, শ্বাসতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করে, কোষ ও কলায় পুষ্টি যোগায়, শরীরের বর্জ্য নিষ্কাশন ও শরীরের সব অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে।
প্রতিদিন মাত্র ২০ মিনিটের যোগাসন আপনার দেহ-মন ফুরফুরে করতে সক্ষম। এজন্য প্রয়োজন একগ্রতা, ইচ্ছে আর অনুশীলন। অনুশীলনের সুবিধার্থে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য থাকছে যোগাসনের ২০টি প্রক্রিয়ার ধারাবাহিক আয়োজন। শেষ পর্বে থাকছে অর্ধমৎস্যেন্দ্রাসন ও বজ্রাসনে কপালভাতি –
অর্ধমৎস্যেন্দ্রাসন
প্রক্রিয়া: দু’পা ছড়িয়ে মেরুদণ্ড সোজা রেখে মাটিতে বসুন। বাম পায়ের হাঁটু ভেঙে ডান পায়ের নিচ দিয়ে ডান থাইয়ের সঙ্গে লাগান। এবার ডান পা তুলে বাম পায়ের থাইয়ের উপর দিয়ে হাঁটুর কাছে খাঁড়া অবস্থায় রাখুন। বাম হাত ডান হাঁটুর উপর দিয়ে নিয়ে বাম হাঁটু ধরুন এবং ডান হাত কোমরের পেছন দিয়ে ঘুরিয়ে বাম পাশে স্পর্শ করুন। হাতের পাতা ওপরে থাকবে। মাথা যতটা সম্ভব ডান দিকে ঘুরিয়ে পেছনে দেখার চেষ্টা করুন। দম স্বাভাবিক রেখে ১০ থেকে ১৫ গুনে ছেড়ে দিন।
উপকারিতা
• স্পাইনাল নার্ভ, ভেইন ও টিস্যুর উপকারিতা।
• মেরুদণ্ডের নমনীয়তা।
• হজম ভালো হয়।
• যকৃৎ, প্লীহা, পাকস্থলী ও হজমের নাড়ি, বৃক্ক, এড্রিনাল গ্রন্থি ইত্যাদিতে রক্ত চলাচল বাড়ে ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়।
বজ্রাসনে কপালভাতি
প্রক্রিয়া: প্রথমে বজ্রাসনে বসুন। দু’পায়ের হাঁটুর উপর দু’হাত রাখুন। মোমবাতি নেভানোর সময় আমরা যেভাবে ফুঁ দিয়ে ভেতরের বাতাস বের করি, সেভাবে ৬০ বার করুন।
উপকারিতা
• রক্তসঞ্চালন ভালো হয়।
• কোমরে মেদ জমে না।
• ঠাণ্ডা ও হাঁপানিতে আক্রান্ত রোগীরা উপকৃত হবেন।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।