সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ
সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান রাষ্ট্রীয় তোষাখানার উপহার দুবাইয়ে বিক্রি করেছেন বলে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সম্প্রতি অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইমরান খান বলেছেন, ‘মেরা তোফা, মেরি মার্জি’। সোমবার (১৮ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপে ইমরান খান বিষয়টি নিয়ে এমন মন্তব্য করেন।
ইমরান খান বলেন, এটা আমার উপহার ছিল, সুতরাং এটা তার ব্যাপার সেটি তিনি রাখবেন না রাখবেন না।
গত সপ্তাহে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দাবি করেন ‘ইমরান খান উপহারগুলো ১৪ কোটি পাকিস্তানি রুপিতে দুবাইয়ে বিক্রি করেছেন।’ ইমরান খানের পাওয়া উপহারের মধ্য রয়েছে হীরার অলংকার, বালা ও হাতঘড়ি।
জানা গেছে, সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার সাড়ে তিন বছরের মেয়াদে বিশ্ব নেতাদের কাছ থেকে ১৪ কোটি পাকিস্তানি রুপির বেশি মূল্যের ৫৮টি উপহার পেয়েছিলেন।
ইমরান খান বলেন, আমি আমার বাসভবনে এক প্রেসিডেন্টের পাঠানো উপহার জমা দিয়েছিলাম। তোষাখানা থেকে যা নিয়েছেন তা রেকর্ডে আছে। রাষ্ট্রীয় তোষাখানার খরচের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করার কথাও বলেন তিনি। তিনি এটাও দাবি করেন যে পিটিআই সরকার উপহার ধরে রাখার নীতি পরিবর্তন করেছে এবং দাম ১৫ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে।
তোষাখানার বিস্তারিত জানাতে ইসলামবাদ হাইকোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছে সম্প্রতি। এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শাহবাজ উপহার নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। পিটিশন দায়ের প্রসঙ্গে ইমরান খান এর আগে বলেছিলেন, অফিশিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট, ১৯২৩ অনুযায়ী তোষাখানার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা যাবে না।
আইন অনুযায়ী, কোনো রাষ্ট্রপ্রধান যদি অন্য কোনো রাষ্ট্র অথবা দেশ থেকে কোনো উপহার পেয়ে থাকেন, সেটা তোষাখানায় জমা দিতে হবে। যদি উপহারটি নিজের কাছে রাখতে চান, নিলামের মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করে ওই পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। এসব উপহার হয় তোষাখানায় থাকবে অথবা নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে সেই অর্থ জাতীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে।
সূত্রঃ জাগো নিউজ