পূর্ব ভূমধ্যসাগরের বিতর্কিত এলাকায় তুরস্কের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমের ফলে গ্রিস ও পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তুরস্কের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এমন উত্তেজনার মধ্যেই পাল্টাপাল্টি সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক ও গ্রিস। দুই দেশের এমন ঘোষণার মধ্যেই পূর্ব ভূমধ্যসাগরে গ্রিস, সাইপ্রাস ও ইতালির সঙ্গে সামরিক মহড়ায় যোগ দিচ্ছে ফ্রান্স।
বুধবার ফ্রান্সের সশস্ত্রবাহিনী বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ কথা জানায়।
দেশটির মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ফ্রান্সের পক্ষ থেকে তিনটি রাফায়েল যুদ্ধবিমান, একটি রণতরী ও হেলিকপ্টার সামরিক মহড়ায় যুক্ত হবে।
তুর্কি সংবাদ মাধ্যম ইয়েনি শাফাক জানায়, ফ্রান্সের বহরটি ২৬-২৮ আগস্ট পর্যন্ত অংশগ্রহণ করবে বলে জানানো হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তেল-গ্যাস অনুসন্ধানরত গবেষণা জাহাজের অভিযান আরও বিস্তৃত করা হবে, তুরস্ক এমন ঘোষণা দেয়ার পর গ্রিস সামরিক মহড়া চালানোর ঘোষণা দেয়।
এর আগে সোমবার এক ঘোষণায় তুরস্ক জানিয়েছে, ওই জলসীমায় তাদের গবেষণা জাহাজ অরুচ রেইসের অনুসন্ধানের সময় ২৭ আগস্ট পর্যন্ত চার দিন বাড়ানো হচ্ছে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রিস ওই অঞ্চলে নৌ মহড়া চালানো হবে বলে ঘোষণা দেয়।
এক বিবৃতিতে গ্রিস সরকারের মুখপাত্র স্টেলিওস পেটসাস বলেন, কূটনৈতিকভাবে ও অভিযানের পর্যায়ে, উভয়ভাবে প্রস্তুতিসহ গ্রিস শান্তভাবে সাড়া দিচ্ছে, আর নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে পারবে এমন আত্মবিশ্বাসও গ্রিসের আছে।
অন্যদিকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, অরুচ রেইস ও এটির পাহারায় থাকা আমাদের নৌবাহিনীর জাহাজগুলোর তৎপরতা থেকে এক পা পেছনে ফেরার পদক্ষেপও নিবে না।
সম্প্রতি পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মিসর ও সাইপ্রাস বড় জ্বালানি খনির সন্ধান পেয়েছে। এরপরই তুরস্ক ওই এলাকায় প্রাকৃতিক সম্পদের খোঁজ পাওয়ার জন্য অতিমাত্রায় তৎপর হয়ে উঠে।
সূত্রঃ যুগান্তর