তাইওয়ান ও চীনের মূল ভূখণ্ডের দিকে ধেয়ে আসছে ‘সুপার টাইফুন মেরান্তি’। গত অর্ধশতাব্দীর ইতিহাসে মেরান্তিই এ অঞ্চলের সবচেয়ে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়। আজ বুধবার ভোরে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ তাইওয়ানের দিকে এগোতে দেখা যায়।
গত সোম থেকে মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মেরান্তি ১ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় থেকে সর্বোচ্চ ৫ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা ধরে ঘূর্ণিঝড়টি বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০৫ কিলোমিটার বজায় রেখেছে। এভাবে চলতে থাকলে ঘূর্ণিঝড়টিতে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
মেরান্তির মতো প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সর্বশেষ ঘটেছিল ২০১৩ সালে ফিলিপাইনে। আর ১৯৫৯ সালের পর এই প্রথম কোনো প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় তাইওয়ানের এতটা কাছে গেছে।
আবহাওয়াবিদদের ধারণা, দক্ষিণ তাইওয়ানের ওপর দিয়ে মেরান্তি পার হবে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র থাকবে তাইওয়ানের কয়েক মাইল দক্ষিণে।
ঘূর্ণিঝড় মেরান্তির প্রভাবে তাইওয়ান ও চীনের উপকূলীয় অঞ্চলে টানা বৃষ্টি এবং প্রবল বাতাস বইছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তাইওয়ানে বাতাসের গতিবেগ ১২০ থেকে ১২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পরে ঘূর্ণিঝড় উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে চীনের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারে।
তাইওয়ানের জনসংখ্যা দুই কোটি ৩০ লাখ। দ্বীপটির উত্তর ও পশ্চিম দিকেই অধিকাংশ মানুষ বসবাস করেন। তবে ঘূর্ণিঝড় মেরান্তির প্রভাব দেখা যাবে পুরো তাইওয়ান দ্বীপের ওপরই। এ ছাড়া এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অনেক অঞ্চলে ভূমিধসেরও আশঙ্কা আছে।
বার্তা সংস্থা চায়না নিউজ এজেন্সি জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আজ সকালেই দক্ষিণ তাইওয়ানের স্কুলসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাইওয়ানের তাইনান ও কাওহসিউং বিমানবন্দরের অনেক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।