সোমবার , ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ডেন্টাল ক্যারিজ কেন হয়, কী করবেন

Paris
সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১ ১২:০৩ অপরাহ্ণ

দাঁতের ক্ষয় বর্তমান সময়ের একটি বড় সমস্যা। সব বয়সি লোকজন এ সমস্যায় পড়তে পারেন। দীর্ঘদিন দাঁতের যত্ন না নিলে কিংবা অবহেলা করলে ডেন্টাল ক্যারিজ দেখা দিতে পারে।

ডেন্টাল ক্যারিজের কারণ ও প্রতিকার নিয়ে যুগান্তরকে পরামর্শ দিয়েছেন মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. ফারুক হোসেন।

দন্তক্ষয়কে রোগীরা অনেক সময় অবহেলা করে থাকেন। ফলে সূ² একটি দন্তক্ষয় থেকে দন্তমজ্জা পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে দন্তমজ্জার প্রদাহ সৃষ্টি করে থাকে।

পর্যায়ক্রমে এ সংক্রমণ দাঁতের গোড়ায় কোষে বিস্তৃতি লাভ করে থাকে। চিকিৎসা না নিলে তা খুব দ্রুত সংক্রমিত হয়ে থাকে।  সংক্রমণের মাত্রা বেশি হয়ে থাকে। সংক্রমণের মাত্রা বেশি হয়ে গেলে হাড় পর্যন্ত ছিদ্র হয়ে যেতে পারে। এর পর সংক্রমণ মুখের কোষ বা কলায় একটি স্থানব্যাপী বিস্তৃতি লাভ করে থাকে, যাকে ডাক্তারি ভাষায় স্পেস ইনফেকশন বলা হয়।

এ ধরনের স্পেস ইনফেকশনকে লাডউইগস্ এনজাইনা বলা হয়। লাডউইগস্ এনজাইনাকে সাবম্যান্ডিবুলার বা সাবলিংগুয়াল স্পেস সংক্রমণও বলা হয়। লাডউইগস্ এনজাইনা এক ধরনের সেলুলাইটিস। শুধু ডেন্টাল ক্যারিজ নয়; বরং কোনো ডেন্টাল সংক্রমণ থেকে এমনটি হতে পারে।

লাডউইগস্ এনজাইনা হলে রোগীর গলার পাশে ফুলে গিয়ে শ্বাসনালির ওপর চাপ প্রয়োগের ফলে শ্বাস নেওয়ার সময় রোগী সীমাহীন কষ্ট অনুভব করে থাকেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ ধরনের পরিস্থিতিতে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
মনে রাখতে হবে, লাডউইগস্ এনজাইনা জীবনের প্রতি হুমকিস্বরূপ হতে পারে। জরুরি অবস্থায় ট্রাকিওসটমির প্রয়োজন দেখা দিতে পারে।

শ্বাসকষ্ট ছাড়া রোগীর জ্বর, ঘাড়ে ব্যথা, ঘাড় ফুলে যাওয়া, ঘাড় লাল হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, খাবার গিলতে সমস্যা হওয়া ইত্যাদি লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে।

পেনিসিলিন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক স্বাভাবিক ডোজের চেয়ে বেশি পরিমাণে দেওয়া যেতে পারে বয়স, উচ্চতা ও ওজন অনুযায়ী। তাই দন্তক্ষয় বা দাঁতের গোড়ায় কোনো সংক্রমণকে কোনোভাবেই অবহেলা করা ঠিক নয়।

দন্তক্ষয় প্রতিরোধ সবচেয়ে ভালো। তাই প্রতিদিন সকালে নাস্তার পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করা উচিত। এ ছাড়া ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করা ভালো। মাঝে মাঝে প্রয়োজনমতো কসমেটিক মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।

মনে রাখতে হবে, সব মাউথওয়াশ সবাই ব্যবহার করতে পারে না। কেবল ভুল মাউথওয়াশ ব্যবহার করার কারণে আপনার মুখে আলসার দেখা দিতে পারে বা আলসার থাকলে তা সহজে ভালো হবে না।

দন্তক্ষয় ছাড়া দাঁতের গোড়ায় বা পাশে কোনো সংক্রমণ দেখা দিলে দ্রুত কার্যকর চিকিৎসা নিতে হবে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল