সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
প্রথমে ঠিক হলো বৈঠক হবে, তারপর নাকচ করে দেয়া হলো, পরে আবারো সিদ্ধান্ত হলো বৈঠকের ব্যাপারে; অবশেষে মাত্র দু’সপ্তাহে আয়োজন সম্পন্ন করতে হয়েছিল সিঙ্গাপুরকে। পরে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঐতিহাসিক বৈঠক করেন।
এবারে ঠিক করা হয়েছে ভিয়েতনামে বৈঠক হবে এই দুই নেতার। চলতি বছরের ২৭-২৮ ফেব্রুয়ারি সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে পারমাণবিক ক্ষমতাধর দুই রাষ্ট্রনেতার।
তবে তাদের বৈঠকে কী ঠিক হবে না হবে সেসব নিয়ে আলোচনার বাইরে আরো কিছু বিষয় উঠে এসেছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো, আয়োজনের খরচ বহন করবে কে।
কারণ প্রথমবার তাদের বৈঠকের জন্য কম ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়নি সিঙ্গাপুরকে। সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে ইতোমধ্যেই পরামর্শ নিয়েছে ভিয়েতনাম।
২০১৮ সালের ১২ জুন দুই নেতার বৈঠককে ঘিরে তাদের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে ওই স্থানের সুরক্ষার ব্যাপারে নজর রাখতে হয়েছে সিঙ্গাপুরকে। উভয়ের থাকার হোটেল থেকে শুরু করে বৈঠকের স্থান একেবারে কড়া নজিরদারির মধ্যে রাখতে হয়েছিল।
ভিড় নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে রাস্তা বন্ধ রাখা, নিরাপত্তার খাতিরে তল্লাশিও চালাতে হয়েছে ব্যাপকহারে। এমনকি আকাশসীমাও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা হয়েছিল, বাণিজ্যিক অনেক বিমানের ফ্লাইটের সময়সীমা পরিবর্তনও করে দেয়া হয়। এছাড়া পানির সরবরাহের ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া হয়। তার ওপর কিম জং উনের লোকলস্করের বহর তো আছেই। তার ব্যবহারের টয়লেট পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া থেকে নিয়ে এসে বৈঠক শেষে আবার সেটা ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এতোকিছুর পরেও প্রশ্ন উঠছে, কিম জং উনের পক্ষ থেকে আসা লোকবলের খরচ বহন করবে কে? কারণ, অর্থনৈতিক লেনদেন নিষিদ্ধ থাকার কারণে ডলারে বিল পরিশোধ করতে পারেনি উত্তর কোরিয়া। কিমের তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছিল, বৈঠকের খরচ তার দেশ বহন করতে পারবে না। এবার দেখার বিষয়, কিম জং উনের খরচ বহন কে করে?