সৌদি আরবের প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সৌদি আরবের আরও কয়েকজন নাগরিককে সন্দেহভাজনের তালিকায় যুক্ত করেছে তুরস্কের একটি আদালত। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে জামাল খাশোগিকে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের সৌদি কনস্যুলেট অফিসে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বর্বরভাবে হত্যা করা হয়।
তুর্কি আদালত বলেছে, নতুন করে সন্দেহভাজনের তালিকায় এসব ব্যক্তিকে যুক্ত করার কারণ হচ্ছে হত্যাকাণ্ডের পেছনের প্রকৃত সত্য উন্মোচনে সাহায্য করা।
ইসতাম্বুল শহরের আদালতে মঙ্গলবার এ ব্যাপারে দ্বিতীয় দফা শুনানি হয় এবং আগের ২০ জন সন্দেহভাজনের তালিকায় নতুন করে আরও ছয় সৌদি নাগরিকের নাম যুক্ত করা হয়। এর মধ্যে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সাবেক দুই সহকারী রয়েছেন।
বর্বর এ হত্যাকাণ্ডের জন্য তুরস্কের সরকারি কৌঁসুলিরা সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দা উপপ্রধান আহমাদ আল-আসিরি এবং বিন সালমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সৌদ আল-কাহতানিকে আগেই অভিযুক্ত করেছে।
মঙ্গলবারের শুনানিতে মিশরের ভিন্ন মতাবলম্বী রাজনীতিক আয়মান নূরের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। তিনি জামাল খাশোগির ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সাক্ষ্য দিতে গিয়ে আয়মান নূর বলেছেন, ৫৯ বছর বয়সী সাংবাদিক জামাল খাশোগি তাকে জানিয়েছিলেন যে, যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের ঘনিষ্ঠ লোকজন থেকে তিনি হুমকি আসছে।
জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত সেপ্টেম্বর মাসে সৌদি আরব ২০ জনকে পাঁচ বছর ও তিনজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। সৌদি আররে এ রায়কে জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞ প্রত্যাখ্যান করে একে বিচারের সঙ্গে রসিকতা বলে মন্তব্য করেছেন।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন