ক্যান্সার একটি মরণব্যাধি রোগ এটি কারোরই অজানা নয়। তবে এমন কিছু খাবার আছে যা খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। দিন যত যাচ্ছে তত ক্যান্সার প্রতিকারের নতুন নিয়ম বের করছেন গবেষকরা। চিকিৎসকরাও বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের কথা বলছেন। খাবার দাবার ও জীবনযাপনের উপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন তারা। উদাহরণস্বরুপ ধূমপান ত্যাগের মাধ্যমে ক্যান্সারকে দূরে রাখা সম্ভব।
অন্ত্রের ক্যান্সার, যা কোলোরেক্টাল ক্যান্সার নামেও পরিচিত, শরীরের পাচনতন্ত্রকে বিশেষত বৃহত অন্ত্র এবং মলদ্বার মতো অঙ্গগুলিকে প্রভাবিত করে। সুতরাং আপনার দেহের হজমপ্রকিয়া ভালো রাখা অনেক জরুরী।
গুট জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক গবেষণাগুলিতে বলা হয়েছে যে দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার ফলে অন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে যে রসুন, পেঁয়াজ, মাছ, চা বা কফি খেলে যে অন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে এর প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
শতকরা ১৩ থেকে ১৯ ভাগ মানুষ বলছে দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে অন্ত্রের ক্যান্সারের সম্ভাবনা অনেকটা কমে। অ্যাসপিরিন অন্ত্রের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে তবে ১৪ থেকে ২৯ ভাগ মানুষ অ্যাসপিরিন খাওয়ার ফলে ঝুঁকিতে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পাঁচটি খাবার রাখলে অন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে।
দই:
দই শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বজায় রাখে। এছাড়া খাবারে হজমেও সহায়তা করে। এতে করে ক্যান্সারের সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
পালং শাক:
সর্বশেষ গবেষণা অনুসারে পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। আর এই ম্যাগনেসিয়াস অন্ত্রের ক্যান্সার রোধ করে। পালং শাকে যে উপাদান রয়েছে তা খাবার হজমেও সহায়তা করে।
ফল:
কিছু কিছু ফল যেমন কলা, আম, পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফাইবার হজম পক্রিয়ায় সাহায্য করে। সেই সাথে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখে। এর ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
আলমন্ড:
আলমন্ডের গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার সমৃদ্ধ আলমন্ড অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। সেই সাথে ত্বক ও চুলের যত্নে আলমন্ডের জুড়ি মেলা ভার।
ডাল:
রাজমা বা চানার মতো ডালগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা স্বাস্থ্যকর হজমে সহায়তা করে। তবে, এই জাতীয় ডাল সহ ভারী তরকারি এড়ানো ভাল। এগুলি স্যান্ডউইচ, সালাদ ইত্যাদিতে যুক্ত করা খাওয়া উপকারী এবং সুস্বাদুও হতে পারে।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ