সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
ঈদের দিনেও অশান্তি ঠেকানো গেলো না ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে। আজ মঙ্গলবারঈদুল আজহার দিনে কাশ্মীরে সেনাবাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল। এতে দুজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৩০ জন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমসূত্রেজানা গেছে, মঙ্গলবার ঈদের নামাজের পরপরই কাশ্মীরের বন্দিপোরায় সংঘাতশুরু হয়।একদল বিক্ষোভকারী ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে প্রথমে পাথর ছুড়তে শুরু করে বলে অভিযোগওঠেছে। বিক্ষোভকারীদের হটিয়েপরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও ছররা বন্দুকেরগুলিব্যবহার করেননিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
এ সময়কাঁদানে গ্যাসের শেল লেগে ১৯ বছরবয়সী একতরুণেরমৃত্যু হয়। আহত হন অনেকেই। ঈদের দিনে বন্দিপোরায় এই অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ কাশ্মীরের শোফিয়ান জেলাতেও। সেখানে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ছোড়া ছররা গুলিতে এক তরুণ নিহত হয়।
উপত্যকার মাটিতে গত কয়েক মাসে অশান্তির জেরে এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৮ জন। ১৯৯০ সালের পর এই প্রথম কাশ্মীর উপত্যকায় ঈদের দিন কারফিউজারি করা হলো। এর পাশাপাশি আজ থেকে তিন দিনের জন্য উপত্যকায় বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত্বমোবাইল সেবাদাতা সংস্থা ভারত সঞ্চার নিগম ছাড়া সব ধরনের মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। ঈদের দিন সকাল থেকেই উপত্যকার রাস্তাঘাট ছিলো শুনশান। দোকানপাট, বাজারঘাট খোলেনি।
উপত্যকায় কারফিউয়ের বিরোধীতা করেছে ন্যাশনাল কনফারেন্স। ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, উপত্যকায় স্থানীয় প্রশাসনের কার্যালয়ে হামলার ডাক দিয়েছে কাশ্মীরের একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। ফলে অতিরিক্ত মাত্রায় সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। এরই মধ্যে কাশ্মীরের ১০ জেলায়কারফিউ জারি করা হয়েছে। হেলিকপ্টার ও ড্রোনের মাধ্যমে আকাশপথে চালানো হচ্ছে নজরদারী।
গত ৮ জুলাই হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর। উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় কারফিউজারি করা হয়। টানা ৪৮ দিন কারফিউজারি থাকার পর তা তুলে নেওয়া হয়।
সূত্র:এনটিভি