ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান জিহাদ মহসিন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) হামাস সংশ্লিষ্ট একটি সংবাদমাধ্যমের বরাতে আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, গাজা সিটির শেখ রেদওয়ান অঞ্চলে জিহাদ মহসিনকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জিহাদ মহসিনের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি। অন্যদিকে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কমিটি পলিটব্যুরোর একমাত্র নারী সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম।
ফিলিস্তিনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হামাসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা আব্দেল আজিজ আল-রানতিসির বিধবা স্ত্রী ৬৮ বছর বয়সী জামিলা আল-শান্তিকে বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে ইসরায়েল। হামাসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আব্দেল আজিজও ২০০৪ সালে এক বিমান হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অবৈধ বসতিতে হামলা চালায় গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপরই গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। তাদের নির্বিচারে বোমাবর্ষণে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৭০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি।
নিহতদের মধ্যে অন্তত ১ হাজার ৫২৪ জন শিশু, ১ হাজারের বেশি নারী রয়েছেন। এছাড়া ১২ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে, হামাসের হামলায় অন্তত এক হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চার হাজার ৪০০ জনেরও বেশি।
এদিকে, মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে গাজার ‘আল-আহলি’ হাসপাতালে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। তাতে প্রায় ৫০০ মানুষ নিহত হয়। আহত হয় আরও বহু মানুষ। এছাড়া আরও অনেকে হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, হাসপাতালটিতে অসংখ্য মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এছাড়া ইসরায়েলিদের হামলা থেকে বাঁচতে অনেকে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকার এ হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তবে এ হামলার দায় অস্বীকার করেছে ইসরায়েল।