বৃহস্পতিবার , ৩ অক্টোবর ২০২৪ | ২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ইরানের হামলায় ইসরাইলি বিমানঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতির চিত্র প্রকাশ

Paris
অক্টোবর ৩, ২০২৪ ৮:৫৬ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত নেভাতিম বিমান ঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতির স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করেছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।

গত মঙ্গলবার রাতের এ হামলা ইরানের ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-২’ এর অংশ হিসেবে চালানো হয়। যা ইসরাইলের ওপর চালানো সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বড় ধরনের আক্রমণ।

হামলার পর স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, নেভাতিম ঘাঁটির মূল রানওয়ের পাশে সারিবদ্ধ ভবনগুলোর একটির ছাদে বড় আকারের গর্ত সৃষ্টি হয়েছে এবং চারপাশে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

নেভাতিম বিমান ঘাঁটিটি মূলত ইসরাইলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সামরিক ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সেখানে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ব্যবহৃত এয়ারবোর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (অঊড্ঈ) বিমান এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম রাখা ছিল।

নেভাতিম ঘাঁটিতে ইসরাইলের কৌশলগত এয়ার কমান্ডের সদর দপ্তরও রয়েছে। এটি ইসরাইলি বিমানবাহিনীর অন্যতম প্রধান ঘাঁটি। এছাড়া ইসরাইলি প্রেসিডেন্টের ‘উইং অব জায়ন’ বিমানও এই ঘাঁটিতে অবস্থান করে।

ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পস (ওজএঈ) জানিয়েছে, তারা এই হামলায় যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ব্যবহার করেছে, তার ৯০ শতাংশই নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।

ইরান জানিয়েছে, এই হামলাটি ছিল ইসরাইলি আক্রমণের প্রতিশোধ এবং এটি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ীই বৈধ প্রতিরক্ষা অধিকার হিসেবে পরিচালিত হয়েছে।

এদিকে ইসরাইলি নেভাতিম ঘাঁটি ছাড়াও হাটসারিম ঘাঁটি এবং তেল নফ ঘাঁটিতেও ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে নিশ্চিত করেছে সিএনএন। এসব ঘাঁটিতে মূলত এফ-১৫ যুদ্ধবিমান রাখা ছিল।

এছাড়াও মঙ্গলবার রাতে রাজধানী তেলআবিবে অবস্থিত মোসাদের সদর দপ্তরের কাছেও দুটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে।

ইরানে এসব মিসাইল হামলায় ইসরাইলের সামরিক স্থাপনাগুলোতে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইরান দাবি করেছে, তারা তাদের মহান ভাই হিজবুল্লাহর নেতা ও মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহ এবং হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই এ হামলা চালিয়েছে।

 

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক