সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ
সংযুক্ত আরব আমিরাতে মার্ক এলিস এভার্স নামে একটি নিয়োগ এজেন্সি প্রথমবারের মতো মেটাভার্স ট্রেনিং একাডেমি প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। এতে একজন ব্যক্তি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে মেটাভার্সের মধ্যে পরিচালিত প্রশিক্ষণ সেশনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
খবরে বলা হয়েছে, দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম এর প্রস্তাবিত মেটাভার্স কৌশলের সাথে মিল রেখে দেশটিতে ৪০ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করতে মার্ক এলিস এভার্স নামে নিয়োগ কোম্পানিটি অগ্রগামীর ভূমিকায় থাকতে চাইছে। কোম্পানিটি মেটাভার্সের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সবচেয়ে সেরা ব্যক্তিকে খুঁজে বের করবে।
আর মার্ক এলিস এভার্স- এর লক্ষ্য হচ্ছে, মেটাভার্স সমর্থিত প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করা। যাতে বহুজাতিক কর্পোরেশন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা, বেসরকারি ও সরকারি সংস্থাগুলো এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সবচেয়ে ভালো কর্মী নিয়োগ দিতে সক্ষম হয়।
মার্ক এলিস এভার্স- এর পরিচালক ইসমাইল বলেন, ‘একটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা ব্যবসায় লাভ সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখি। তাই আমাদের ক্লায়েন্ট ও প্রার্থীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে সবধরনের সহায়ক টুল ব্যবহার করতে চাই। যাতে উভয়ই (চাকরি দাতা ও প্রার্থী) লাভবান হয়। আর এক্ষেত্রে বড় সহায়ক হবে মেটাভার্স।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ৪০ কোটিরও বেশি সক্রিয় গ্রাহক রয়েছে মেটাভার্সের। ফলে এই প্ল্যাটফর্মে ট্র্যাডিশনাল মাধ্যমের চেয়ে বেশি চাকরি প্রার্থীর তালিকা রয়েছে। মেটাভার্সকে একটা ডিজিটাল ‘জব হাব’ বলা হচ্ছে। যার মাধ্যমে চাকরিদাতারা আরও বেশি চাকরি প্রার্থীদের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হবেন।
মার্ক এলিস এভার্স- এর পরিচালক ইসমাইল বিষয়টার ব্যাখ্যা করে বলেন, যখন কোনো কোম্পানির কর্মীর প্রয়োজন হবে, তখন তারা এই প্ল্যাটফর্মে একটি বিজ্ঞাপন দেবেন। যাতে চাকরির বিস্তারিত তথ্য থাকবে। এটা চাকরিপ্রার্থীরা সহজেই দেখতে পারবেন এবং নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি তারা নিজেদের যোগ্যতা সম্পর্কে সহজেই চাকরিদাতাকে অবহিত করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, মেটাভার্সই হবে ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ। বলা চলে, মেটাভার্সে ইন্টারনেটকে প্রাণ দেওয়া হবে। জাকারবার্গের ভাষায়, এটি এমন এক ‘ভার্চুয়াল পরিবেশ’ যার মধ্যে আপনি প্রবেশ করতে পারবেন। বস্তুত মেটাভার্স এক অন্তহীন জগত। এখানে পরস্পরসংযুক্ত ভার্চুয়াল সমাজ থাকবে—যেখানে মানুষ পরিচিতদের সঙ্গে দেখা করবে, কাজ করবে, খেলবে।
প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, মেটাভার্সের কারণে ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জগতকে মনে হবে বাস্তব জগতের মতো যেখানে মানুষের যোগাযোগ হবে বহুমাত্রিক। মেটাভার্স প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনি কোন কিছু শুধু দেখতেই পাবেন না, তাতে নিজেকে জড়িয়ে ফেলতেও সক্ষম হবেন।
সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন