পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সহযোগিতায় বন বিভাগ মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাতামুহুরী-সাঙ্গু দুর্গম সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ বনায়ন কর্মসূচির আওতায় মঙ্গলবার বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে আকাশ থেকে সিডবল নিক্ষেপের মাধ্যমে দুর্গম সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বীজ ছিটানো হয়।
এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বান্দরবান রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জিয়াবুল হক।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় আলীকদম সেনা জোনের হেলিপ্যাডের সবুজায়ন মাঠে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
উদ্বোধন শেষে মাটি মিশ্রিত সিডবল ভর্তি বক্সগুলো হেলিকপ্টারে করে দুর্গম সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ছিটানোর উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলীকদম ৫৭ বিজিবির অধিনায়ক মো. ইফতেখার হোসেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. আব্দুল আউয়াল সরকার, লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম কায়সার, বান্দরবানের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ফরিদ মিঞা, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম, বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য দুংড়িমং মার্মা, ফাতেমা পারুলসহ সেনাবাহিনী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বন বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
লামা বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা এসএম কায়সার বলেন, বিলুপ্ত ও বনাঞ্চল সৃষ্টির সহায়ক ৩০ প্রজাতির বীজ সিডবলের মাধ্যমে ছিটানো হচ্ছে। তার মধ্যে ৬শ কেজিতে আনুমানিক ৫ লাখ বীজ মাটি সংমিশ্রণের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সিএইচটিডব্লিউসিএ এসআইডি-সিএইচটি প্রকল্পের মাধ্যমে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে চাপরাশি, চম্পা, হারগাজা, জাম, গামার, তেলশুরসহ প্রায় ৩০ প্রজাতির বীজ আছে।
বান্দরবান সেনা রিজিয়নের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জিয়াবুল হক বলেন, এটি একটি মহতী উদ্যোগ। বান্দরবানের দুইটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বীজ ছিটানো হচ্ছে। আমরা চাই এখানের জীববৈচিত্র্য রক্ষা হোক, মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে মিশে থাকুক।
তিনি বলেন, বর্তমানে গাছপালা বিলীন হচ্ছে; ফলে পানি সংকট তৈরি হচ্ছে। গাছপালা বাড়লে পানি সংকট থাকবে না, জীববৈচিত্র্য বাড়বে। গাছপালা বাড়লে বন্যপ্রাণীরা আর জনসম্মুখে আসবে না। তার জন্য যে বীজগুলো ছিটানো হচ্ছে তা যেন কেউ নষ্ট না করে, সেজন্য আমরা সচেষ্ট থাকব।
সূত্রঃ যুগান্তর