সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য দুই মাসের সময় চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছেন যুদ্ধাপরাধে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেমের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
রোববার সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন তিনি। বিষয়টি বাংলামেইলকে জানিয়েছেন মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আহমদ বিন কাসেম।
তিনি জানিয়েছেন, শুনানির প্রস্তুতির জন্য দুই মাসের সময় চেয়ে আমাদের সিনিয়র খন্দকার মাহবুব স্যার আবেদন করেছেন।
এদিকে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য আগামীকাল সোমবার দিন ধার্য আছে।
মামলাটি শুনানির জন্য সুপ্রিমকোর্টের সোমবারের কার্যতালিকায় ৬৩ নম্বরে রাখা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। অন্য বিচারপতিরা হলেন, সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
এ মামলার বিচারে রাষ্ট্রপক্ষ ৬৩ বছর বয়সী মীর কাসেমকে পাকিস্তানের খান সেনাদের সঙ্গে তুলনা করেছে। ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে গত ৮ মার্চ মীর কাসেম আলীর আপিল খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে দুই অভিযোগে মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড এবং আট অভিযোগে সব মিলিয়ে ৭২ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। গত ৮ মার্চ আপিলের রায়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মূল হোতার বিরুদ্ধে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন আহমেদকে খুনের দায়ে এক অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও ছয় অভিযোগে ৫৮ বছর কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখা হয়েছে।
গত ৬ জুন মীর কাসেমের ২৪৪ পৃষ্ঠার ফাঁসির পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। নিয়মানুযায়ী পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন করেন মীর কাসেম আলী।
১৯ জুন ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন দাখিল করেন মীর কাসেম আলী। মোট ৮৬ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ১৪টি যুক্তি দেখিয়ে ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস চাওয়া হয়েছে। ২৫ জুলাই রিভিউ শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধের বহু প্রতীক্ষিত বিচার শুরুর পর আপিলে আসা এটি সপ্তম মামলা, যার ওপর চূড়ান্ত রায় প্রকাশের পর এখন রিভিউ শুনানির অপেক্ষা।
সূত্র: বাংলামেইল