বাঘা প্রতিনিধি:
ছিনতাইকারিদের লোহার রড ও হাতুড়ি পেটায় ডান হাতের হাড় ভেঙ্গে গেছে। ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগাতে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে হাতটিতে। ডান পায়ের হাড় না ভাঙ্গলেও ফোলা জখমের যন্ত্রনায় বাঘা হাসাতালের ২ নম্বর কেবিনে কাতরাচ্ছে উপজেলা আড়ানি ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আজিজুর রহমানের ছেলে ফারুক। ছিনতাইকরিদের নামে মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান থানায় মামলা করলেও মিমাংসার অজুহাতে সে মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ।
জানা যায়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে ফারুক হোসেন তার বেড়েরবাড়ি গ্রাম থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ভ্যানযোগে আড়ানি বাজারে যাচ্ছিল। এসময় শাহাপুর গ্রামের জিয়ার বাড়ির দক্ষিন পার্শ্বের রাস্তায় পৌছা মাত্রই পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা একই গ্রামের একদল উছশৃঙ্খল যুবক সাবাজ আলীর ছেলে মিলনের নের্তৃত্বে পথ রোধ করে প্রকাশ্যে লোহার রড ও হাতুড়ি নিয়ে হামলা করে। এতে তার ডান হাতের হাড় ভেঙে যায়। হাতুড়ি পেটায় ডান পা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম হয়। আসাদুল নামের এক প্রতিবেশীর মারফত খবর পেয়ে আশংকাজনক অবস্থায় আহত ফারুককে উদ্ধার করে বাঘা হাসপাতালে ভর্তি করেন ফারুকের পিতা আজিজুল।
এ ঘটনায় ফারুকের পিতা আজিজুর বাদী হয়ে একই উপজেলার শাহাপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে জিয়া,আনারুল, সাবাজ আলীর ছেলে মিলন, লেলিন,বাহাদুরের ছেলে শাহাদত,মুকুলের ছেলে মিলটন, আতু ফকিরের ছেলে মুক্তাসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬জন উছশৃঙ্খল যুবকের বিরুদ্ধে বাঘা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
৬দিন আগে অভিযোগ করলেও পুলিশ কাউকে আটক কিংবা মামলা রেকর্ড করেনি বলে অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান।
আহত ফারুক সিল্কসিটি নিউজকে জানান, তার কাছে থাকা ৫০ হাজার টাকা, ফ্যাক্সিলোড ব্যবসার নকিয়া মোবাইল ফোন ও গলায় থাকা একটি সোনার চেইন নিয়ে যায় তারা। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মমিনুল ইসলাম ডান হাতের হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী মাহমুদ সিল্কসিটি নিউজকে জানান, তিনি মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ পেয়েছেন। স্থানীয়ভাবে মিমাংসার কথা বলাই মামলা রেকর্ড করা হয়নি। তবে গতকাল বুধবার রাতে মামলা রেকর্ড করে দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান ওসি।
স/অ