সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
বাঘের হামলায় আহত পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের কুশকাটি গ্রামের জয়রাম সরেন৷ রবিবার বিকেলে স্থানীয় একটি জঙ্গলে ঘটনাটি ঘটে৷
আহত জয়রাম জানান, রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ পাঁচ বন্ধু মিলে বনশুকর শিকার করতে কুশকাটির জঙ্গলে ঢুকেছিলেন তাঁরা৷ প্রায় দেড় কিলোমিটার যাওয়ার পর একটা ক্যানেল পার হয়ে কিছুটা যেতেই বাঘ দেখতে পান বলে দাবি জয়রামের৷
তাঁর দাবি, ‘‘সঙ্গে সঙ্গে যে যার মতো আমরা পাঁচ জনে দৌড়ানো শুরু করি৷ ক্যানেল পার হওয়ার সময় আমার হাতে বাঘের থাবা পড়ে৷ কিন্তু বাঘটা তারপর আর আমাকে তাড়া না করে দাঁড়িয়ে যায়। আমি আর কোনও দিকে না তাকিয়ে গ্রামে পালিয়ে আসি৷’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়রাম গুরুতর জখম অবস্থায় গ্রামে আসে৷ তিনি যখন গ্রামে আসেন, তখন তাঁর সঙ্গে আর কেউ ছিল না৷ গ্রামের বাসিন্দারাই প্রথমে তাঁকে কেয়াশোল প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান৷ তার পর সেখান থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে৷ আপাতত সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন৷ তবে তাঁর বন্ধুদের কোনও খোঁজ মেলেনি৷ জয়রাম সরেনও এ বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি৷
এদিকে বাঘের পায়ের ছাপ প্রতিদিন বেড়েই চলছে নতুন নতুন জায়গাতে। মানুষের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে। রবিবার সকালে যদিও ওই ঘটনাস্থলের থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে কিয়ামাচা ও জিরাপাড়া দু’টি বনলাগোয়া গ্রামে পায়ের ছাপ দেখা যায়। সেগুলির নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায় বনদফতর৷
তবুও বাঘের হামলা মানতে চায় না বনদফতর। জেলা বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ওটা বাঘের হামলা নয়৷ বাঘ হামলা করলে ছেড়ে পালিয়ে আসতে পারতো ? শিকারে গিয়েছিল তাই ওখানে বন বিড়াল হামলা করেছে৷ আর অতর্কিতে হামলার ফলে খেয়াল করেই দেখেনি ওটা বাঘ না বেড়াল। ’’ কলকাতা ২৪