নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ: ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বশরীরে অংশ নিয়েও স্বাধীনতার ৪৯ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাননি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ১২ রশিয়া গ্রামের মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে মো. জোহরুল আহসান। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেটে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম না উঠায় জীবনের শেষ বয়সে এসে অযত্ন-অবহেলায়, অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে দিনদিপাত করছেন বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেয়া বীর সেনা জোহরুল আহসান।
কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীরাও তার এই দুর্দশায় হতাশা ও অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করেছেন। সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সফিকুল আহসান (লাল বার্তা নং-০৩০৩২০৬৫৮), মো. নজরুল ইসলাম (লাল বার্তা নং-০৩০৩২০২৭৬) ও মো. সাজেমান আলী (লাল বার্তা নং-০৩০৩২০২৮২) জানান, আমাদের সাথে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বহু অপারেশনে অংশ নিলেও দুঃখজনকভাবে আজও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নাম উঠেনি। জীবনের শেষ বয়সে এসে অসহায় মুক্তিযোদ্ধা জোহরুল আহসান খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে।
তারা আরো জানান, দেশের প্রতি তার অসীম ভালোবাসা ও দেশাত্মবোধই আজ স্বাধীন সার্বভৌম দেশ প্রাপ্তির অন্যতম প্রধান নিয়ামক। এমন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অতি কষ্টে জীবন অতিবাহিত করছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দেয়া বীর সেনার পাশে আজ কেউ নাই। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জোহরুলকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম ঘোষণা করে তার পাশে দাঁড়াবেন। এসময় জোহরুল আহসানের নাম গেজেটভুক্ত করার দাবি জানান তার সহযোদ্ধারা।
মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেয়া বীর সেনা জোহরুল আহসান বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে বহু সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে জোহরুল মহদীপুর সীমান্ত পার হয়ে বিভিন্ন অপারেশনে স্ব শরীরে লড়াই করি। এর আগে ভারতের গৌড় বাগানে বুট ক্যাম্প ট্রেনিং ও শিলিগুড়িতে ফায়ার ট্রেনিং শেষে মহদীপুর সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করি এবং বিভিন্ন সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন, আমাকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম দিয়ে আমার পাশে দাঁড়াবেন।
স/রি