শুক্রবার , ৫ আগস্ট ২০১৬ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সৌদিতে খাবার সংকটে শতাধিক বাংলাদেশি

Paris
আগস্ট ৫, ২০১৬ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সৌদি আরবে আটকে পড়া শ্রমিকদের একজন ফরিদপুরের মিজানুর রহমান। আঠারো বছর ধরে তিনি সেখানে কাজ করছেন। কিন্তু হঠাৎ করে কাজ হারানোয় এবার তাঁর দিন কাটছে কোনো রকমে এক বেলা খেয়ে।

মিজানুর টেলিফোনে বলেন, ‘এখন এক বেলা খানা খাই। তিন বেলার খাবারের জায়গায় দিনের মধ্যে এক বেলা খাই। ভারতের কিছু বড় বড় কম্পানি আছে, তারা সাহায্য করছে। তারা মূলত ভারতীয়দের সাহায্য করছে, সেখান থেকে আমরাও কিছু কিছু পাই।’

বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের একটি বড় অংশই কাজ করে সৌদি আরবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ক্রমাগত পড়তে থাকায় সৌদিতে বহু কম্পানিতে কাজ বন্ধ হতে শুরু করেছে গত বছর থেকেই।

সবচেয়ে বেশি শোচনীয় অবস্থা নির্মাণ সংস্থাগুলোর। অনেক প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের হঠাৎ করেই ছাঁটাই করা হয়েছে। অনেকে মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না। শ্রমিকদের জন্য নির্মিত শিবিরগুলোতে তাঁদের দিন কাটছে প্রায় অভুক্ত অবস্থায়।

মিজানুর রহমান জানান, যেখানে তিনি কাজ করতেন সেখানে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কার শ্রমিকরা কাজ করত। এক বছর আগে কম্পানির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়।

এর পর থেকে বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়। চার মাস ধরে খাওয়াও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইসলামী দাওয়াত সেন্টার নামের একটি প্রতিষ্ঠান রমজান মাসে খাবার দিয়েছিল। এরপর আরেকটি কম্পানি কিছু চাল-ডাল দিয়ে যায়। পাকিস্তান ও ভারতীয় কম্পানি সাহায্য করেছে। ‘এখন করুণ অবস্থা, কারো কাছে এক টাকাও নাই’ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু তারা ব্যবস্থা নেবে কিভাবে? দূতাবাসের কোনো কর্মকর্তা এসে দেখেননি আমরা কী অবস্থায় আছি। খেয়ে আছি, নাকি না খেয়ে আছি সেটা এসে কেউ দেখে নাই। শুধু বলে আসব আসব।’

মিজানুর আরো বলেন, কারো আকামা নেই। আকামা ছাড়া গেটের বাইরে যাওয়া যায় না। গেটের বাইরে গেলেই পুলিশ আক্রমণ করে। একবার পুলিশ ধরলেই ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে।

মিজানুর বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো মন্ত্রী বা বড় কোনো মানুষ যদি আমাদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে হয়তো একটা কিছু হবে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে বদলি হয়ে কাজ করতে পারি, তা বদলি হতেও ৭০-৮০ হাজার টাকা লাগে। মানুষ খেতেই পায় না, এত টাকা কোথা থেকে দিব?’

আরেক বাংলাদেশি শ্রমিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকার আব্দুল করিম জানান, ১৪০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক এখন এ অবস্থায় আছে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শ্রমিক, যারা সে দেশে বেকার রয়েছে, তারা যাতে অন্য চাকরিতে ঢুকতে পারে বা দেশ ত্যাগ করতে পারে সে লক্ষ্যে বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে।

ভারতীয় শ্রমিকদের মধ্যে প্রায় আট হাজার বেকার হয়ে পড়েছে। তবে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে সে দেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং জেদ্দায় রয়েছেন। পাকিস্তানেরও কয়েক শ শ্রমিক এখন সেখানে কর্মহীন।

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - জাতীয়