ভারতের নারী কারাতে খেলোয়াড় পামেলা অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় সানি খান ওরফে শেখ তারুফ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পামেলার মোবাইলের সূত্র ধরে মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত ৫ জুন ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয় হাওড়ার বালির কিশোরী পামেলা অধিকারীর। আত্মহত্যা করার আগে নিজের মোবাইলের ছয় সংখ্যার পাসওয়ার্ড হাতের তালুতে লিখে রেখেছিল পামেলা।
সেই সূত্র ধরেই কারাতে পামেলার মোবাইলের তথ্য হাতে পান তদন্তকারীরা। পুলিশ ও হাওড়া সিটি পুলিশের সাইবার বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতাতেই খুলে যায় পামেলার মোবাইলের ‘লক’।
নেটমাধ্যমে পামেলার অ্যাকাউন্ট থেকেই সানির পরিচয় জানতে পারেন গোয়েন্দারা।
পুলিশ জানিয়েছে, পামেলার মৃত্যুর খবর জানার পরই কিছুদিন মোবাইল বন্ধ রাখে সানি। ফোন খুলতেই তার লোকেশন খুঁজে পান গোয়েন্দারা।
পুলিশ সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার আরও জানায়, ১৯ বছর বয়সী সানি বিবাহিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় পামেলার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারপর সম্পর্ক গড়ায় ঘনিষ্ঠতায়।
কোনো একদিন সানির স্ত্রী পামেলার ফোন ধরে ফেলেন। তার পরই দুজনের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে পারেন তিনি। এ নিয়ে সানির পরিবারে অশান্তি বাধে।
অন্যদিকে সানির স্ত্রী ফোন ধরায় পামেলাও বুঝতে পারে সানি বিবাহিত। সেও সানির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতে চায়। এরপর থেকেই ভিন্ন দিকে মোড় নেয় এই ত্রিভুজ প্রেমের সম্পর্ক।
তদন্তে জানা গেছে, পামেলা সানির ফোন নম্বর ব্লক করে দিয়েছিল। কিন্তু সানির অন্য নম্বর থেকে তাকে ফোন করত। পামেলার সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করত।
তদন্তকারীদের দাবি, ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে পামেলার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ছিল সানির কাছে। সেই ছবি দেখিয়েই পামেলাকে সে ব্ল্যাকমেল করা শুরু করে। সে পামেলার আরও ছবি চাইতে শুরু করে। না দিলে আগের সব ছবি নেটমাধ্যমে প্রকাশ করার পাশাপাশি পামেলার বাবা-মায়ের কাছেও পাঠানোর হুমকি দেয় সানি।
সেই সব ছবি প্রকাশ্যে আসার ভয়েই গলায় ফাঁস লগিয়ে পামেলা আত্মহত্যা করে পুলিশের ধারণা।
সূত্রঃ যুগান্তর