শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামের উইকেট দূর থেকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল উপরে সবুজ ঘাসের আস্তরণ! এটি যে পেসারদের স্বর্গ তা সহজেই বোঝা যাচ্ছিল। কিন্তু উইকেট বুঝতে পারল না কেবল দলের সঙ্গে থাকা অভিজ্ঞ টিম ম্যানেজমেন্ট। সে কারণে পেসারদের আদর্শ উইকেটে একাদশ সাজানো হলো দুই পেসারকে দলের বাইরে রেখে।
এমন একটি উইকেটে বড় চমক হচ্ছে, একাদশে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের অনুপস্থিতি। সুযোগ দেওয়া যেত রুবেল হোসেনকেও। আবুধাবির সবুজ উইকেটে টিম ম্যানেজমেন্টের এই অদ্ভুত চিন্তার কারণে একটা আফসোস থেকেও গেল। অবশ্য বাংলাদেশ দল যে ব্যাটিং করেছে এরপর আর ভক্তদের হা-হুতাশ করার কিছু নেই। উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে ৮৪ রানেই অলআউট। ৩৯ বল আগে জয় পায় প্রোটিয়রা।
টস জিতে আবুধাবিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ছন্নছাড়া বাংলাদেশের ব্যাটিং। লিটন, সৌম্য, নাঈম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ, আফিফ… ক্রিজে আসলেন আর গেলেন। অথচ উইকেট এতোটাও ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন ছিল না।
বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমার মতে, বোলিংয়ের জন্য উইকেট ভালো ছিল। আমরা ২২ গজে একটু ভালো করিনি। হতশ্রী ব্যাটিং পারফরম্যান্স। বোলাররা সুবিধা পেয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবুও ভালো ব্যাটিংয়ের আশা করা যেত।’
তবে মাহমুদুউল্লাহকে পোড়াচ্ছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ ফসকে যাওয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ বলে ম্যাচ হার। ওই দুই হারের ক্ষত এখনো ভুলতে পারেনি বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহ পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ঘুরে ফিরে সেই দুই হারের কথাই বললেন, ‘এভাবে হারা কষ্টদায়ক, বিরক্তিকর। আমরা দুইটি ম্যাচ জিততে পারতাম। সেই দুটি ম্যাচ জিততে পারলে হয়তো আমাদের সফরের গল্পটাই ভিন্ন হতো।’
মুস্তাফিজের পরিবর্তে তাসকিনকে নিয়ে সফলতা পাওয়ায় খুশি মাহমুদুল্লাহ, ‘তাসকিন এ টুর্নামেন্টে ভালো ব্যাটিং করেছে। আমাদের তাসকিন ও মোস্তাফিজের মধ্যে একজনকে পছন্দ করতে হতো। মনে হলো তাসকিনকে সুযোগ দেওয়া উচিত। তাসকিন আস্থার প্রতিদান দিয়েছে।’
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন