বাঁহাতি পেসার থাঙ্গারাসুই নাটরাজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় শর্ট টার্ম রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদে সুযোগ পেয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের তরুণ পেসার উমরান মালিক। আর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটে পাওয়া সেই সুযোগটি দুই হাতে লুফে নিয়েছেন ২১ বছর বয়সী এ গতিতারকা।
সবার আগে আইপিএল থেকে বিদায় নেয়া সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে শেষ তিনটি ম্যাচ খেলেছেন উমরান, উইকেট পেয়েছেন মোটে দুইটি। কিন্তু গতির ঝড়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। যে কারণে নেট বোলার হিসেবে ভারতের বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে তাকে আমিরাতে থেকে যেতে বলেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
চলতি আইপিএলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গতির (১৫২.৯৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা) ডেলিভারিটি করেছেন উমরান। তিন ম্যাচে অন্তত সাতটি ডেলিভারি করেছেন ১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টার চেয়ে বেশি গতিতে। নিজেদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে এই গতির ঝড়কে কাজে লাগাতে চাইছে ভারতীয় ক্রিকেট দল।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রায় ১৫৩ কিমি প্রতি ঘণ্টার ডেলিভারিটি করেন উমরান। যা দেখে প্রশংসা করতে ভুল করেননি ব্যাঙ্গালুরু ও ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি জানিয়েছিলেন, উমরানের মতো প্রতিভার দিকে বাড়তি নজর দেয়া উচিত।
সেই ম্যাচের পর কোহলি বলেছিলেন, ‘এই টুর্নামেন্ট থেকে প্রতি বছর প্রতিভাবান খেলোয়াড় পাওয়া যায়। কাউকে ১৫০ কিমি গতিতে বোলিং করতে দেখা আনন্দের বিষয়। এখান থেকে প্রক্রিয়াটা ঠিক রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে নিজের শরীর ঠিকঠাক রাখা যায় এবং সেরাটা বের করে আনা যায়। ফাস্ট বোলারদের এমন পারফরম্যান্স ভারতীয় দলের জন্যই ভালো হবে।’
অধিনায়কের এমন মন্তব্যের পর উমরানকে দলের সঙ্গে রেখে দিতে বেশি ভাবতে হয়নি নির্বাচকদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে হবে ভারতকে। এ দুই দলেই রয়েছে গতিময় বোলার। তাই উমরানকে নেট বোলার হিসেবে পেলে ভারতের প্রস্তুতিটাও হবে যুতসই।
সূত্রঃ জাগো নিউজ