সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
২০১৮ সালের মার্চে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের দায়ে সব ধরনের ক্রিকেটে এক বছর নিষিদ্ধ ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়েই ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। তবে ৩৩ বছর বয়সী ক্রিকেটারের পারফরম্যান্সে নির্বাসনের বিন্দুমাত্র ছাপ পড়েনি।
রাজকীয় ঢঙে মূলধারার ক্রিকেটে ফিরেছেন ওয়ার্নার। প্রত্যাবর্তনে একের পর এক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছেন তিনি। সেই সুবাদে অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতে নিলেন বাঁহাতি বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান।
সোমবার রাতে মেলবোর্নে হয় অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট (সিএ) অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠান। সেখানেই ওয়ার্নারের হাতে অজি বর্ষসেরা ক্রিকেটার অ্যালান বোর্ডার পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। এ পুরস্কারের লড়াইয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বদেশী ব্যাটিং মায়েস্ত্রো স্টিভেন স্মিথ ও পেসার প্যাট কামিন্স।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতলেন ওয়ার্নার। ২০১৬ ও ২০১৭ সালেও টানা দুই বছর এটি বগলদাবা করেন তিনি।
একই সঙ্গে বছরের সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের পুরস্কারটিও ওয়ার্নারের হাতেই উঠেছে। বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার হয়েছেন ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ। আর সেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পদক পেয়েছেন তরুণ মার্নাস লাবু্শেইন। এ ছাড়া মেয়েদের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের বেলিন্ডা ক্লার্ক পদক জিতেছেন অ্যালিস পেরি।
২০১৯ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এ সময় পর্যন্ত ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে এ পুরস্কার দিয়েছে সিএ। আলোচিত সময়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সব ফরম্যাট মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১৮১৫ রান করেন ওয়ার্নার। এর মধ্যে অ্যাডিলেডে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ক্যারিয়ার সেরা ৩৩৫ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেন তিনি।