বাগেরহাট প্রতিনিধি:
সুন্দরবনের ধানসিদ্ধির চর এলাকা থেকে কথিত জলদস্যু সাগর বাহিনী অন্তত ২০ জেলেকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সাগর বাহিনীর হাত থেকে পালিয়ে আসা মংলার চিলা এলাকার এক জেল স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের হাড়বাড়িয়া সংলগ্ন ধানসিদ্ধির চর এলাকায় ভোর রাতে এই অপহরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপকূল রক্ষীবাহিনী কোস্টগার্ড অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাগেরহাটের মংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য বলেন, ৪/৫ দিন আগে কলাতলা কেয়াবুনিয়া গ্রামের দুই জেলে সাগরে মাছ ধরতে যায়। শুক্রবার ভোর চারটার দিকে বনদস্যু সাগর বাহিনী অতর্কিত জেলে ট্রলারে হামলা চালায়।
‘এসময় আমার এলাকার এক জেলে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে আসলেও অপরজনকে সাগর বাহিনীর দস্যুরা অপহরণ করে নিয়ে গেছে।’
ফিরে আসা ওই জেলে জানিয়েছে সাগর বাহিনী ওই এলাকা থেকে অন্তত ২০ থেকে ২৩ জনকে তুলে নিয়ে গেছে। অপহ্নত জেলেদের বাড়ি বাগেরহাটের মংলা উপজেলার উলুবুনিয়া, দক্ষিণ কাইনমারি ও কলাতলা কেয়াবুনিয়া গ্রাম এবং রামপাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
এদিকে, দস্যুরা অপহ্নত জেলেদের মুক্তিপণ হিসেবে কোন চাঁদা দাবি করেছে কিনা শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত স্থানীয় জেলে-মহাজন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশনস্) লেফটেন্যান্ট এম ফরিদউজ্জামান খান বলেন, সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়ায় অদূরে ধানসিদ্ধির চর এলাকা থেকে জেলে অপহরণের অভিযোগ পেয়ে সকাল থেকে আমাদের একাধিক দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে উদ্ধার করতে পারিনি।
অপহৃত জেলেদের সংখ্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের কাছ থেকেই প্রথম অপহরণের খবর পাই। অপহৃত জেলেদের সংখ্যা ১৩, ২০ আবার ২৩ শোনা যাচ্ছা। তবে প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জেলেদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে গত কয়েক মাসে সুন্দরবনের ৫টি বড় দস্যু বাহিনীর আত্মসমর্পনের পরও এমন অপহরণের ঘটনায় সাধারণ জেলেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
স/অ