ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর ধামইরহাটের বাইপাস সড়কটি জনগণের কোন উপকারে আসছে না। সড়কটি খুবই সরু এবং রাস্তার পার্শে শোল্ডার না থাকার কারণে হালকা ও ভারী যানবাহন ক্রসিং হয় না। যার কারণে কোন যানবাহন আর ঝুঁকি নিয়ে ওই রাস্তায় যায় না। প্রশস্ত করণের অভাবে যে উদ্দেশ্যে নিয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছিল সেটি কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, প্রায় এক যুগ আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ধামইরহাট ইউপি-ভেড়ম বাজার ভায়া বিহারীনগরহাট সড়কটি নির্মাণ করে। এ সড়কটি ধামইরহাট বাইপাস সড়ক হিসেবে পরিচিত। সড়কটি ধামইরহাট-জয়পুরহাট সড়কের পিড়লডাঙ্গা মোড় থেকে শুরু হয়ে ঘুকসি খাড়ীর উপর তিনটি সেতু অতিক্রম করে ধামইরহাট-নওগাঁ সড়কের বিহারীনগর ব্রীজের নিকট গিয়ে মিলিত হয়েছে।
রাস্তাটি সাড়ে ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং প্রশস্ত ১০ফুট। সড়কে তিনটি সেতু সরু রয়েছে। এ সেতুগুলোতে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ীগুলো অতিক্রম করতে পারে না। সড়কটি নির্মাণের পর এটি ধামইরহাট বাইপাস সড়ক হিসেবে পরিচিত। এই রাস্তাটি চাঁপাই নবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁর সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর, মহাদেবপুর, পত্নীতলাকে দেশের উত্তরাঞ্চলের সাথে সংযুক্ত করেছে। এ ছাড়াও এ সড়ক দিয়ে হিলি স্থুল বন্দরর মালামাল দেশের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করা হয়।
ট্রাক চালক মো.আব্দুল মজিদ বলেন, বাইপাস সড়ক দিয়ে যেতে পারলে সময় কম লাগতো। তাছাড়া ধামইরহাট উপজেলা সদরে যানজটে পড়তে হতো না। কিন্তু বাইপাস সড়কটি কুবই সরু। এই রাস্তায় গেলে এখ আমাদের ভোগান্তি বেড়ে যায়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ধামইরহাট, নওগাঁর উপজেলা প্রকৌশলী মো.আলী হোসেন বলেন, সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রশস্তকরণের জন্য একটি প্রস্তাব উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেটি কর্তৃপক্ষের সুনজরে আসেনি। উপজেলা সদরের একমাত্র রাস্তাটি তেমন প্রশস্ত নয় তার উপরন্ত আন্তঃ জেলার যানবাহন চলাচল করায় প্রায় সারাদিনই যানজট লেগে থাকে। এতে এলাকাবাসীকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ধামইরহাট উপজেলাকে যানজটমুক্ত করতে বাইপাস সড়কটি প্রশস্ত করা জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে।