সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে ইমরুল কায়েসের শেষের শুরু হয়েছে আজ খুলনা-ঢাকা ম্যাচ দিয়ে। দুই দলের ক্রিকেটাররা ‘গার্ড অব অনার’ দিয়েছেন তাকে। ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানিয়েছে খুলনা বিভাগীয় ক্রিকেট দলও। তবে ইমরুলের শেষের শুরুটা বিশেষ হয়েছে মোহাম্মদ আশরাফুল আর তামিম ইকবালের উপস্থিতিতে।
প্রথমজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেক ম্যাচের অধিনায়ক। ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয়েছিল ইমরুলের। আর তামিমের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জুটি বেঁধে ব্যাট করেছেন।
অবশ্য শেষের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের হয়ে ৩৯টি টেস্ট খেলা ইমরুলের।
ঢাকার বিপক্ষে তার দল খুলনা অলআউট হয়েছে মাত্র ১৭২ রানে। পেসার এনামুল হকের বলে আউট হওয়ার আগে ১৬ রান করেন ইমরুল। খুলনার ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৯ রান এসেছে মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে। ঢাকার হয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন পেসার সুমন খান।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেটে ৫৮ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করেছে ঢাকা।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ঢাকার মেট্রো-সিলেট ম্যাচেও বোলারদের দাপট দেখা গেছে। প্রথম ইনিংসে ১৩০ রানে অলআউট হয়েছে ঢাকা মেট্রো। সিলেটের হয়ে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ৪টি এবং দুই পেসার খালেদ আহমেদ ও রেজাউর রহমান রাজা ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। দিনের বাকি অংশে ২ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান তুলেছে সিলেট।
৫১ রান নিয়ে আগামীকাল আবার ব্যাটিং শুরু করবেন দলটির অধিনায়ক অমিত হাসান।
একই অবস্থা রাজশাহী-চট্টগ্রাম ম্যাচেও। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১১২ রানে অলআউট হয়ে গেছে চট্টগ্রাম। বাঁহাতি পেসার ফাহাদ হোসেন নিয়েছেন ৫ উইকেট। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান তুলেছে চট্টগ্রাম। আরেক ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২৬৬ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে বরিশাল। তরুণ ওপেনার ইফতেখার হোসেন ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৭০ রান। এ ছাড়া সালমান হোসেন ৬৭ ও তাসামুল হক খেলেছেন ৫১ রানের ইনিংস। রংপুরের হয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন পেসার আবদুল্লাহ আল মামুন।
সূত্র: কালের কণ্ঠ