ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তার সাথে অসদ্বাচরণের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। সর্বশেষ শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম আবদুল লতিফ ও ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক একে আজাদের সাথে উচ্চ-বাচ্য করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সূত্র মতে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা তৌকির মাহফুজ মাসুদ, শিশির ইসলাম বাবু, ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত, মিজানুর রহমান লালন, আলামিন জোয়ার্দ্দারসহ কয়েকজন নেতাকর্মী বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দফতরে গিয়ে কিছু গোপন নথিপত্র দেখতে চান। এসময় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত অফিসিয়াল নথিপত্র দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে তারা তাকে দূর্নীতিবাজ আখ্যা দেন এবং তাঁর সাথে উচ্চ-বাচ্য করেন। এদিকে একইদিন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের শাখার প্রধানের সাথেও উচ্চ-বাচ্য করেন।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ট্রিপল-ই বিভাগের অধ্যাপক ও শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. মাহবুবর রহমানের কুশপুত্তলিকা দাহ করার ঘটনায় প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন ‘শাপলা ফোরাম’ গণস্বাক্ষরের আয়োজন করে। সেখানে স্বাক্ষরকৃত শিক্ষকদের শিক্ষকদের নানাভাবে হুমকি দেয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক আরিফুল ইসলাম, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের প্রভাষক হাসনাত নাহিদসহ একাধিক শিক্ষককে মোবাইল ফোনে হুমকি দেন তারা।
এদিকে এসব ঘটনায় বিব্রত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীসহ সচেতন শিক্ষক মহল। তাদের মতে, যারা ছাত্রলীগের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন; তারা কার্যত দলের কেউই না। আর দায়িত্ব না পেয়েই যদি তাদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ কর্তাব্যক্তিরা এমন লাঞ্ছনা ও হুমকির শিকার হন; তবে তারা দায়িত্ব পেলে কি করবনে!
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম আবদুল লতিফ বলেন, ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা আমার কাছে অফিসিয়াল কিছু গোপন নথি চায়। আমি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে সেটি দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তারা আমাকে বকাবকি করে চলে যায়। বিষয়টি আমি সাথে সাথে প্রো-ভিসি স্যারকে জানিয়েছি।
এবিষয়ে ইবি শাখার বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা মিজানুর রহমান লালন বলেন, আমরা রেজিস্ট্রারের কাছে একটা তথ্য নিতে গেলে তিনি আমাদের এক ঘন্টা বসিয়ে রাখেন। পরে আমাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
স/অ