সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কিন্তু সম্প্রতি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকাকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জানিয়েছেন, তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি।
সেই প্রতিবেদনে বলা হয়- ‘প্রশ্ন উঠেছে প্রধানমন্ত্রী যদি পদত্যাগ করে থাকেন তাহলে সেটা গেল কোথায়? কারও কাছে এই প্রশ্নের জবাব নেই। প্রতিবেদনে দাবি করা হয় তিন সপ্তাহ ধরে অনুসন্ধান চালিয়েছি। খোঁজ নিয়েছি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগেও। যেখানটায় প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র থাকার কথা। কোথাও নেই।’
শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার দুই মাস পর রাষ্ট্রপতির এমন বক্তব্যকে ‘বিশেষ উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবদিন।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জয়নুল আবদিন।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন- শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার এ ভাষণ সারা দেশের মানুষ শুনেছেন। রাষ্ট্রপতি নিজে প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টাদের শপথ পড়িয়েছেন। এখন তিনি বলছেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই। আমি বলব, রাষ্ট্রপতি সরকার গঠনের দুই মাস পরে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এ কথা বলেছেন। রাষ্ট্রপতি অসত্য বলেছেন।’
৫ আগস্ট রাতেই জাতির উদ্দেশে ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পেয়েছেন। তিন দিন পর মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
সংবাদমাধ্যমে রাষ্ট্রপতির এমন বক্তব্যের পর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘আপনার যদি শারীরিক বা মানসিক সক্ষমতা না থাকে বা আপনি যদি গুরুতর অসদাচারণ করেন, তখন রাষ্ট্রপতি হিসেবে আর ওই পদে থাকতে পারেন কিনা- সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার স্কোপ আমাদের সংবিধানে আছে।’
বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন বলেছেন, যেহেতু রাষ্ট্রপতির পদে থেকে তিনি ‘অসত্য’ কথা বলেছেন, তাই দেশের মানুষ মনে করে তার পদত্যাগ করা উচিত।
সূত্র: যুগান্তর