অর্থাৎ গত বারের চেয়ে পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ১ শতাংশ। তবে পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫। এ বছর রাজশাহী বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ হাজার ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী। গত বছর পেয়েছিল ৪২ হাজার ৫১৭ জন শিক্ষার্থী। আর পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে এবারও ভালো ফলাফল করেছে মেয়েরা।
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড থেকে এই বছর ২ লাখ ৬ হাজার ৩৩০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯৫৮ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ। গতবারের চেয়ে পাসের হার বাড়লেও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি অনেকটাই কম।
ছাত্রদের পাসের হার ৮৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ যেখানে ছাত্রীদের পাসের হার ৯০ দশমিক ০৮ শতাংশ। বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ হাজার ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৭১৩ জন ছাত্রী এবং ১২ হাজার ১৬৪ জন ছাত্র রয়েছে। আর পাসের হারের দিক থেকেও ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো ফল করেছে। যেখানে ছাত্রীদের পাসের হার ৯০ দশমিক ০৮ শতাংশ। সেখানে ছাত্র পাসের হার ৮৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তবে গত বছরের চেয়ে গড় ফলাফল তুলনামূলক এবার কিছুটা ভালো।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম আরও বলেন, এ বছর শূন্য পাসের সংখ্যা স্কুলের সংখ্যা মাত্র একটি। আর শতভাগ পাস করেছে এমন স্কুলের সংখ্যা ১৭৮টি। মোট ২৬৫টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে ২ হাজার ৬৮১টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৮১ হাজার ২৫৬ জন।
এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ কমে যাওয়ার প্রশ্নে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, করোনা সংকট কেটে গেলেও তার দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাব এবছরও দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়েছে। শর্ট সিলেবাসে পরীক্ষা হলেও শিক্ষার্থীরা সময় একটু কম পেয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই অনলাইনে ক্লাস করেছে। ভালো বুঝতে পারেনি। অনেকে আবার পড়াশোনা থেকে দূরে চলে গিয়েছিল। সব মিলেয়ে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আসেনি। তবে আশা করা যাচ্ছে এ পরিস্থিতি কাটিয়ে সামনের শিক্ষার্থীরা আশানুরূপ সাফল্য পাবে।