নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী নগরীর ডাসপুকুর এলাকায় জমিজমা নিয়ে সংঘর্ষে বিএনপির সাবেক নেতা শফিকুল ইসলাম শফিকসহ (৫০) দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহত অপরজন হলেন, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মাহতাবা আলী গ্রুপের জয়নাল হক (৪৫)। বুধবার দুপুর একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় আটজনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সব মিলে অন্তত ১৫ জন আহত হন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত শফিকুল মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। তবে তিনি কয়েক বছর আগে দল থেকে পদত্যাগ করেন।
নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি মাজাহারুল ইসলাম জানান, বুধবার দুপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে স্থানীয় দু্ই গ্রুপেপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দু’জন নিহত হয়। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক মর্গে পাঠানো ব্যবস্থা করা হয়।
আহতদের রামেক হাসপাতালের ৮ ও ৩১ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের মধ্যে একজনকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। আহতদের বেশীর ভাগ আঘাত মাথায়। তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থল ও রামেক হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আহতরা হলেন হলেন, তিন নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাতাব (৫০), সালমা বেগম(৪০), সোহেল (৩২), সালাম (৪০), সোহাগ (৩২)।
স্থানীয়রা জানান আওয়ামী লীগ নেতা মাহতাব আলী একটি বিবাদমান জমি দখল করে রাখেন। এনিয়ে আরেক প্রভাবশালী আব্দুস সালামের সঙ্গে বিরোধ তৈরী হয়। সালাম দ্বিগুণ দামে জমিটি কিনে নিতেও চান। কিন্তু ওই জমি জোর করে দখলে রাখেন কাউন্সিলর কামাল হোসেনের ভাই ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব আলী। এরইমধ্যে আজ সকালে সালাম গ্রুপের লোকজন ওই জমিতে বাঁশের বেড়া দিতে যান।
এতে বাধা প্রয়োগ করেন সেলিম হোসেনের বাবা আওয়ামী লীগ নেতা মাহাতাবসহ তার লোকজন। এক পর্যায়ে দুপুর একটার দিকে উভয়পক্ষ ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে মাহাতাব গ্রুপের হয়ে সংঘর্ষে অংশ নেয়া জয়নাল হক এবং সালাম গ্রুপের হয়ে অংশ নেয়া তার ভাই বিএনপি’র সাবেক নেতা শফিকুল ইসলাম নিহত হন। এছাড়াও আহত হন আরো অন্তত ১৫ জন।
স/আর