মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর রায় রিভিউয়ের (পুনর্বিবেচনা) শুনানি আগামী রবিবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। আজ বুধবার আদালত শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই এ আদেশ দেওয়া হয়। মামলাটি বুধবারের আপিল কার্যতালিকায় ছিল।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চে এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
মঙ্গলবার শুনানির জন্য আরও আট সপ্তাহ সময় চেয়ে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেছিলেন মীর কাসেমের আইনজীবীরা। আদালত আসামিপক্ষের সময়ের আবিদন খারজি করে দিয়েছেন।
গত ২৫ জুলাই রিভিউ শুনানির জন্য এক মাস সময় দেওয়া হয় মীর কাসেম আলীকে। তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন রিভিউ শুনানির দুই মাসের সময় আবেদন করেন। ওই দিন শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করে ২৪ আগস্ট রিভিউ শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়।
গত ১৯ জুন আপিল বিভাগের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন মীর কাসেম আলী। ওই আবেদনে ১৪টি আইনি যুক্তি তুলে ধরে তাকে বেকসুর খালাস দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাসেমের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১০টি প্রমাণিত হয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় মীর কাসেম আলীর পক্ষে আপিল করেন জয়নুল আবেদীন তুহিন। মীর কাসেমের পক্ষে ১৮১টি যুক্তি দেখিয়ে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে এ আপিল করা হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাসেমকে গ্রেফতার করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন