বাংলাদেশ সফরকালে আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া তিনি শ্রমিক আন্দোলনকর্মী, নাগরিক সমাজের নেতা ও মানবাধিকার রক্ষাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকে আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি নাগরিক সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, মানবাধিকার রক্ষাকর্মী, সাংবাদিক ও শ্রমিক আন্দোলনকর্মীদের নিরাপত্তার গুরুত্ব, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহিতা থাকা ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন ও সেখানকার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন। সেই সময় তিনি রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মিয়ানমার ও বাংলাদেশের উদ্যোগগুলোর সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরও ৭৪০ কোটি টাকারও বেশি (৭৪ মিলিয়ন ডলার) অনুদান ঘোষণা করেছেন। যার মধ্যে প্রায় ৬১০ কোটি টাকা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠী ও অন্যান্যদের সহায়তার জন্য দেওয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে ২০১৭ সাল থেকে এ অঞ্চলে রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠীর জন্য আমেরিকার সহায়তার পরিমাণ ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল।
এছাড়া আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া ফ্রিডম ফান্ড ও এর অংশীদারদের জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে ১০ কোটি টাকারও বেশি (১ মিলিয়ন ডলার) অনুদান ঘোষণা করেন। এ টাকা মানবপাচারকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া ৫০০ এরও বেশি শিশুকে সমাজে পুনঃএকত্রীকরণের কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচারের অভিশাপ মোকাবিলায় সরকার ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নিবেদিতভাবে কাজ করছে।
আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সমৃদ্ধি ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং গণতন্ত্র সমুন্নত রাখা ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বজায় রেখে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।