সোমবার , ২৫ জুলাই ২০১৬ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

মেয়াদ শেষে বিদ্যুৎ লাইনের বাস্তবায়ন ২৯ শতাংশ!

Paris
জুলাই ২৫, ২০১৬ ৮:১৩ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহ নেটওয়ার্ক গঠনের লক্ষ্যে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয় ‘১৩২ কেভি গ্রিড নেটওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট ইন ইস্টার্ন রিজিয়ন’ প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পটির কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল গত মে মাসে। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষে অগ্রগতি মাত্র ২৯ দশমিক ৪২ শতাংশ!

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড(পিজিসিবি) সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ছিল মাত্র ৮৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, যা প্রাক্কলিত মোট বরাদ্দের ৯ দশমিক ০১ শতাংশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ ছিল ২৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর বিপরীতে ২০১৬ সালের মে পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ২০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের মোট আর্থিক অগ্রগতি ২৯০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা যা প্রাক্কলিত ব্যয়ের মাত্র ২৯ দশমিক ৪২ শতাংশ।

মূল প্রকল্পটি ৯৮৬ কোটি ৮৪ লাখ ‍টাকা ব্যয়ে ২০১৩ সালে অনুমোদন পেয়েছিল। এর মধ্যে ৬৯৩ কোটি ২২ লাখ টাকা ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক(এডিবি)।

ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া প্রকল্পটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৭ সালের জুন নাগাদ মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে পিজিসিবি। অগ্রগতি ২৯ দশমিক ৪২ শতাংশ হলেও এক বছরে বাকি কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে আশা প্রকাশ করছে সংস্থাটি।

পিজিসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম আলবেরুনি বলেন, ‘কোনো ব্যয় বাড়ানো ছাড়াই প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হচ্ছে। যেমন বর্ষার কারণে আমরা সুনামগঞ্জ ও হাওর এলাকায় কাজ করতে পারিনি। রাঙামাটি-চন্দ্রঘোনা সঞ্চালন লাইন ও উপকেন্দ্র নির্মাণ কাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশবিশেষ পাহাড়ি এলাকায়। ফলে নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রকল্পের কাজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখতে হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী এ সময়ের মধ্যে আমরা কাজ করছি। তবে আশা করছি, আগামী এক বছরের মধেই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করতে পারবো’।

পিজিসিবি সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ঠিকাদার নিয়োগ ও চুক্তি স্বাক্ষরে বিলম্ব হয়। প্রকল্পের লট-১ ও লট-২  এর জন্য কারিগরি মূল্যায়ন ও অনুমোদন গ্রহণ করা হয়। খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি গ্রীড উপকেন্দ্র নির্মাণ কাজের জন্য ভূমির অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেও ১ বছর ৩ মাস অতিবাহিত হয়।

পিজিসিবি জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, চন্দ্রঘোনা, সুনামগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, সিলেট, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ এবং মূল্যায়ন বিভাগের(আইএমইডি) উপ-পরিচালক মুহাম্মদ কামাল হোসেন তালুকদারসহ সংশ্লিষ্টরা প্রকল্পটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে সম্প্রতি প্রতিবেদন দিয়েছেন।

আইএমইডি’র প্রতিবেদনে প্রকল্পের সিলেট অংশে দেখা গেছে, বর্ষকাল শুরু হওয়ায় লাইন রুটের সম্পূর্ণ অংশ পানির নিচে নিমজ্জিত। সিলেট অংশের অধিকাংশ স্থানেই পাইলিংয়ের কাজ হয়ে গেছে। তবে আগামী শুষ্ক মৌসুম ছাড়া টাওয়ার ইকুয়েশনের কাজ সম্পন্ন হবে না। সুনামগঞ্জের অধিকাংশ স্থানেও ট্রান্সমিটার বেজড ফাউন্ডেশন, টাওয়ার ফাউন্ডেশন, সকল যন্ত্রপাতি ইকুয়েশনের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। এমনকি কন্ট্রোলরুমের কাজও বাকি রয়েছে। এর পাশাপাশি কন্ডাকটর স্ট্রিংগিং, কেবল লেইংয়ের কাজও অধরাই রয়ে গেছে।

উপকেন্দ্রে ১০/১৩ এমভি ক্ষমতা বিশিষ্ট মোট সাতটি ট্রান্সফর্মার স্থাপনের কাজও বাকি। যেগুলো চালু করলে সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার মোট ৯১ এমভিএ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
সূত্র: বাংলা নিউজ

সর্বশেষ - জাতীয়