টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিসিসিআই মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ভারতীয় দলের ‘মেন্টর’ হিসেবে নিয়ে যেতেই বাংলাদেশেও আলোচনাটা ওঠে প্রথম। বিশ্বকাপ চলাকালীন এক টিভি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালও একই ভূমিকায় মাশরাফি বিন মর্তুজাকে পাওয়ার ইচ্ছার কথা জানান। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই সাবেক অধিনায়ককে ‘মেন্টর’ হিসেবে পাওয়ার আগ্রহের কথা তামিম বললেও ক্রিকেট প্রশাসনের অভ্যন্তরে তা নিয়ে কোনো আলোচনা অবশ্য এখনো হয়নি। যদিও পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের শেষ দিনে মাশরাফি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের সঙ্গে দেখা করতে আসায় তা নিয়ে গুঞ্জনের ডালপালাও মেলতে শুরু করেছিল। তবে গতকাল বিকেএসপিতে বঙ্গবন্ধু কাপ নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পুরস্কার প্রদান করতে গিয়ে নাজমুল জানালেন, সেরকম কোনো কথাই মাশরাফির সঙ্গে হয়নি তাঁর। তবে মাশরাফি আগ্রহী হলে ‘মেন্টর’ হিসেবে তাঁকে সাদরেই গ্রহণ করার প্রস্তুতিও বিসিবির আছে বলে জানালেন।
মাশরাফিকে জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত করার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাওয়া হলে নাজমুল বলেন, ‘জানি না। ওরকম কিছুই এখনো হয়নি। মাশরাফি যদি আসতে চায়, আমরা তো চাইবই ওকে নিয়ে আসতে। তবে এখন পর্যন্ত ওরকম কোনো আলোচনাই হয়নি।’ সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশ দলের ঢালাও ব্যর্থতার প্রসঙ্গও তুলল। নাজমুল জানালেন, টিম ম্যানেজমেন্টকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আরো তিন মাস সময় দেওয়ার কথা, ‘‘পারফরম্যান্স ভালো থাকলে কিন্তু আপনারা এই প্রশ্নগুলো করতেন না। এখন একটি রূপান্তর প্রক্রিয়া চলছে। ওদের যেতে হচ্ছে ‘ট্রায়ার অ্যান্ড এরর মেথড’-এর মধ্য দিয়ে। টিম ম্যানেজমেন্টকে তাই তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে। তাদের চেষ্টা করতে দিন।’’ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে শুরু হওয়া ব্যর্থতাও বাংলাদেশ দ্রুত কাটিয়ে উঠবে বলে বিশ্বাস বিসিবি সভাপতির, ‘আমাদের সেরা অনেক খেলোয়াড় ফর্মে ছিল না (বিশ্বকাপে)। তামিমও হঠাৎ করে নেই। বিশ্বকাপে সেরা খেলোয়াড়রা পারফরম করেনি বলে কি ওরা খারাপ হয়ে গেল? খেলা দেখে মনে হয়েছে মানসিকভাবে পিছিয়ে আছে। ওদের তাই চাঙ্গা করতে হবে। এ জন্য সময় তো লাগবে। কিন্তু সময়টা কই? এক বায়ো বাবল থেকে আরেক বায়ো বাবলে গিয়ে ঢুকছে। বন্দিজীবন। তবু আমি কিন্তু একেবারেই চিন্তিত না। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার।’
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ